একটি বার্তায় বীরদের স্মরণ
শনিবার সকালে এক আবেগঘন বার্তা পোস্ট করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। X (প্রাক্তন টুইটার) হ্যান্ডলে কার্গিল বিজয় দিবস উপলক্ষে তিনি লেখেন, ‘কিছু বিজয় শুধু যুদ্ধক্ষেত্রে অর্জিত হয় না, জাতির আত্মায় চিরকালের জন্য গেঁথে যায়।’ এই বাক্যেই ফুটে উঠেছে তাঁর গভীর শ্রদ্ধা ও সংবেদন।
শহিদদের উদ্দেশে মমত্বভরা শ্রদ্ধা
এই পোস্টেই তিনি লেখেন, ‘কার্গিল বিজয় দিবসে আমরা ভারতীয় সেনার বীর সন্তানদের সামনে শ্রদ্ধায় নতজানু হই।’ শুধু শহিদ নন, তাঁদের পরিবার—যাঁরা আজও সেই বেদনা বয়ে চলেছেন—তাঁদেরও তিনি সমান শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন।
অপরাজেয় সাহসের বন্দনা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অপরাজেয় সাহস এবং অটল সংকল্পে তাঁরা আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করেছিলেন।’ এই শব্দগুলো যেন একসাথে মিলেমিশে এক অদৃশ্য স্যালুট হয়ে ওঠে। শুধু রাজনৈতিক দায়বদ্ধতা নয়, একান্ত ব্যক্তিগত আবেগও যেন মিশে ছিল এই বার্তায়।
জাতীয়তাবাদের আবেগে উদ্বেল বার্তা
একজন রাজনৈতিক নেতার পক্ষ থেকে এই ধরনের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন সাধারণ ঘটনা হলেও, অভিষেকের শব্দচয়ন এবং আবেগপ্রবণ প্রকাশ ছিল ব্যতিক্রমী। তাঁর এই পোস্টে যে কেবল রাজনৈতিক বার্তা ছিল তা নয়, বরং ছিল জাতির জন্য নিঃস্বার্থ আত্মবিসর্জনের প্রতি এক গভীর শ্রদ্ধা।
‘অপারেশন বিজয়’-এর কথা মনে করালেন
১৯৯৯ সালের সেই জুন-জুলাই মাসে হিমালয়ের অতল শিখরে যে মরণপণ লড়াই হয়েছিল, তা আবার মনে করিয়ে দেন অভিষেক। পাকিস্তানি সেনার কবল থেকে দখলমুক্ত হয়েছিল তোলোলিং, টাইগার হিল-সহ একাধিক শৃঙ্গ। সেনার আত্মত্যাগেই সফল হয়েছিল ‘অপারেশন বিজয়’।
৫২৭ শহিদের আত্মবলিদান আজও অম্লান
যুদ্ধে প্রাণ হারান ৫২৭ জন ভারতীয় সেনা। তাঁদের এই চরম আত্মত্যাগই আজ ভারতীয় সামরিক ইতিহাসের এক গর্বের অধ্যায়। সেই অধ্যায়কে কেন্দ্র করেই প্রতি বছর ২৬ জুলাই পালিত হয় কার্গিল বিজয় দিবস। অভিষেকের এই শ্রদ্ধাঞ্জলি সেই অম্লান ইতিহাসের প্রতিধ্বনি।
পরিবারগুলির অবিচল শক্তিকে সম্মান
শহিদদের পরিবারের কথা ভুলে যাননি তিনি। লিখেছেন, ‘তাঁদের পরিবারের অবিচল শক্তিকে প্রণাম জানাই।’ এই বাক্যে উঠে আসে রাজনীতির গণ্ডি ছাপিয়ে এক সাধারণ ভারতীয়ের সম্মানবোধ—যা আরও বেশি মানবিক ও বস্তুনিষ্ঠ করে তোলে এই শ্রদ্ধার বার্তা।
সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসার বন্যা
এই পোস্ট ছড়িয়ে পড়তেই সমাজমাধ্যমে শুরু হয় প্রশংসার বন্যা। অনেকে মন্তব্য করেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে এমন আবেগঘন বার্তা এখন বিরল। ‘এটাই প্রকৃত নেতৃত্ব’, মন্তব্য এক নেটিজেনের।