ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে প্রায়শই খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের পাশাপাশি তাদের সমর্থকদের নিয়েও আলোচনা হয়। এমনই কিছু ঘটেছে আফগানিস্তানের ২৮ বছর বয়সী ওয়াজমা আয়ুবীর সাথে, যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর গ্ল্যামারাস এবং ক্রিকেট-প্রেমী ছবির কারণে আলোচনায় রয়েছেন।
স্পোর্টস নিউজ: আফগানিস্তানের ২৮ বছর বয়সী সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার এবং ব্যবসায়ী ওয়াজমা আয়ুবী হঠাৎ করেই ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। ওয়াজমা প্রথম আলোচনায় আসেন ২০২২ সালের এশিয়া কাপের সময় স্টেডিয়ামে তাঁর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আবেগ এবং ক্যামেরার সামনে তাঁর আত্মবিশ্বাস দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছিল।
সেই থেকেই ওয়াজমা আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সবচেয়ে আলোচিত সমর্থক হিসেবে পরিচিত। তাঁর এই পরিচিতি সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে এবং ক্রিকেট অনুরাগীরা তাঁকে দলের সৌভাগ্যবতী সমর্থক মনে করেন।
কে এই ওয়াজমা আয়ুবী?
ওয়াজমা আয়ুবী আফগানিস্তানের একজন সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার, ব্যবসায়ী এবং সমাজকর্মী। তাঁর জন্ম আফগানিস্তানের কুন্দুজ প্রদেশে, কিন্তু তাঁর শৈশব কেটেছে আমেরিকায়। বর্তমানে তিনি দুবাইয়ে থাকেন এবং রিয়েল এস্টেট ও ফ্যাশন শিল্পের সাথে যুক্ত। ওয়াজমা টেকসই (sustainable) এবং নৈতিক ফ্যাশনকে উৎসাহিত করেন এবং ক্রিপ্টো ও সম্পত্তিতে বিনিয়োগও করেন।
ওয়াজমা প্রথম আলোচনায় আসেন ২০২২ সালের এশিয়া কাপের সময় স্টেডিয়ামে তাঁর ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। ক্রিকেটের প্রতি তাঁর আবেগ এবং ক্যামেরার সামনে তাঁর আত্মবিশ্বাস দর্শকদের খুব পছন্দ হয়েছিল। সেই থেকেই তিনি আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের সবচেয়ে আলোচিত সমর্থক হিসেবে পরিচিত।
ভারতের প্রতি ওয়াজমার বিশেষ আকর্ষণ
যদিও ওয়াজমা আফগানিস্তান দলের সমর্থক, তিনি প্রকাশ্যে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা প্রকাশ করেছেন। এশিয়া কাপ ২০২৩-এ যখন ভারত বাংলাদেশের মুখোমুখি হয়েছিল, তখন তিনি বিরাট কোহলির জার্সি পরেছিলেন। এই জার্সিটি ২০২২ সালের এশিয়া কাপের ছিল এবং তাতে বিরাট কোহলির অটোগ্রাফও ছিল। তাঁর এই ছবি তৎক্ষণাৎ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় এবং ক্রিকেট প্রেমীদের মধ্যে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে।
ওয়াজমা আয়ুবী কেবল গ্ল্যামারাস জীবনধারার প্রতীকই নন, তিনি সমাজকর্মী এবং এনজিও অ্যাম্বাসেডরও। তিনি আফগানিস্তানের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কাজ করা সংস্থা ChildFund-এর অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। একজন মা হিসেবে ওয়াজমা সবসময় শিশুদের অধিকার এবং শিক্ষার জন্য আওয়াজ তোলেন।
গ্ল্যামারাস এবং সোশ্যাল মিডিয়া স্টার
ওয়াজমার জীবনযাত্রা এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলেছে। তিনি প্রায়শই তাঁর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ফ্যাশন, ক্রিকেট এবং বলিউড পার্টিগুলির ঝলক শেয়ার করেন। ওয়াজমার গ্ল্যামারাস জীবনধারা, ভারতীয় খেলোয়াড়দের প্রতি তাঁর সমর্থন এবং ব্যবসা, ফ্যাশন ও সামাজিক কাজে তাঁর সক্রিয়তা তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে এসেছে।
- ক্রিকেটের প্রতি আবেগ: স্টেডিয়ামে তাঁর ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর তিনি ক্রিকেট প্রেমীদের নজরে আসেন।
- ভারতীয় ক্রিকেট দলের সমর্থন: বিরাট কোহলি এবং ভারতীয় দলের প্রতি তাঁর খোলাখুলি সমর্থন তাঁকে ইন্দো-ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
- সামাজিক সক্রিয়তা: শিশুদের অধিকার এবং শিক্ষার জন্য তাঁর সক্রিয়তা তাঁকে একজন সমাজনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
- ফ্যাশন এবং গ্ল্যামার: দুবাইয়ে ফ্যাশন এবং রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রে তাঁর প্রভাব এবং বলিউডের সাথে সম্পর্ক তাঁকে গ্ল্যামারাস করে তুলেছে।
ওয়াজমা আয়ুবী এখন শুধু আফগানিস্তান বা ভারতেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও পরিচিতি লাভ করছেন। তাঁর ফ্যাশন, ব্যবসা এবং ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় লক্ষ লক্ষ অনুসারী এনে দিয়েছে।