উত্তর প্রদেশের আগ্রায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী बेबी রানি মৌর্য কর্তৃক আয়োজিত কৃষকদের সমস্যা সংক্রান্ত একটি বৈঠক তখন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে যখন বৈঠকে কোনো আধিকারিক উপস্থিত হননি। মন্ত্রী নির্ধারিত সময়ে বৈঠকস্থলে পৌঁছেছিলেন, কিন্তু আধিকারিকদের অনুপস্থিতিতে তিনি ক্ষুব্ধ হন।
UP Politics: আগ্রায় ক্যাবিনেট মন্ত্রী बेबी রানি মৌর্য কৃষকদের সমস্যা নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন। মন্ত্রী নির্ধারিত সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান, কিন্তু যখন তিনি দেখেন যে এই বৈঠকে কোনও আধিকারিক উপস্থিত নেই, তখন তিনি অত্যন্ত রেগে যান। ক্ষুব্ধ মন্ত্রী রাগের মাথায় বৈঠকটি স্থগিত ঘোষণা করেন এবং বলেন যে তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন।
প্রকৃতপক্ষে, সোমবার আগ্রার বিকাশ ভবনে একটি কৃষক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। बेबी রানি মৌর্য কৃষকদের সমস্যা বুঝতে এবং তার সমাধান করতে এই বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন, কিন্তু কোনো আধিকারিকের অনুপস্থিতির কারণে তিনি বৈঠকটি স্থগিত করেন।
বৈঠকের উদ্দেশ্য এবং আধিকারিকদের অনুপস্থিতি
সোমবার আগ্রার বিকাশ ভবনে কৃষকদের সমস্যা নিয়ে আলোচনার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। মন্ত্রী बेबी রানি মৌর্য স্বয়ং কৃষকদের দুর্দশা শুনতে এবং সমাধানের পথ খুঁজতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন। নির্ধারিত সময়ে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দুপুর বারোটা পর্যন্ত কোনো আধিকারিক উপস্থিত হননি। এতে মন্ত্রী অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন এবং স্পষ্ট জানান যে কৃষকদের সমস্যা শুনতে আধিকারিকদের কোনো আগ্রহ নেই।
বেবি রানি মৌর্য সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা প্রসঙ্গে বলেন, "বারোটা পর্যন্ত কোনো আধিকারিক এখানে উপস্থিত ছিলেন না। কেউ কৃষকদের কথা শুনতে চান না। আমি এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবো এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবো।"
কৃষকদের প্রতিক্রিয়া: হাঙ্গামা এবং প্রতিবাদ
যখন কৃষকরা বৈঠক স্থগিত হওয়ার খবর পান, তখন তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। অনেক কৃষক চত্বরে জড়ো হন এবং প্রশাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে শুরু করেন। "আগ্রা প্রশাসন मुर्दाबाद" স্লোগান দিতে দিতে কৃষকরা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন। তাদের বক্তব্য ছিল যে আধিকারিকদের অবহেলা এবং উদাসীনতার কারণে কৃষকরা বছরের পর বছর ধরে তাদের সমস্যার সমাধান পাচ্ছেন না।
কৃষকরা অভিযোগ করেন যে আধিকারিকরা তাদের কথা শুনতে রাজি নন এবং দুর্নীতির সাথে জড়িত। কৃষক নেতা শ্যাম সিং চাহার বলেন, "আগ্রা প্রশাসন ঐক্যবদ্ধভাবে কৃষকদের সাথে প্রতারণা করছে। আধিকারিকরা আমাদের কথা শোনেন না, তাই সমস্যাগুলো যেমন ছিল তেমনই রয়ে গেছে। যদি শীঘ্রই আমাদের সমস্যার সমাধান না হয়, তবে কৃষকরা আসন্ন নির্বাচনে এর কড়া জবাব দেবে।"
এই ঘটনা প্রশাসনের কার্যপদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। মন্ত্রী बेबी রানি মৌর্যের ক্ষোভ এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সরকারের মধ্যেই আধিকারিকদের অবহেলা নিয়ে অসন্তোষ রয়েছে। কৃষকদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ এবং প্রশাসনের উপর আনীত অভিযোগগুলি ভবিষ্যতে রাজনৈতিকভাবে একটি বড় ইস্যু হতে পারে।