বিহার বিধানসভা ২০২৫: মখদুমনপুরে এনডিএ বনাম আরজেডি, জন সুরাজ-এর প্রবেশয় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

বিহার বিধানসভা ২০২৫: মখদুমনপুরে এনডিএ বনাম আরজেডি, জন সুরাজ-এর প্রবেশয় বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ

বিহার বিধানসভা ২০২৫-এ বিহার বিধানসভার মখদুমনপুর আসনে রাজনৈতিক লড়াই তীব্র। আরজেডি এবং এনডিএ-র মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, নতুন মুখ এবং জন সুরাজ পার্টি আগ্রহ বাড়িয়েছে। টিকিট এবং আসন ভাগাভাগি নিয়ে কৌশল চলছে।

বিহার নির্বাচন: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরিবেশ ধীরে ধীরে উত্তপ্ত হচ্ছে এবং এইবারের जहानाबादের রাজনীতি অত্যন্ত আকর্ষণীয় হতে চলেছে। জেলার তিনটি বিধানসভা আসন – जहानाबाद, ঘোসি এবং মখদুমনপুর – বর্তমানে বিরোধী মহাগঠবন্ধনের (Mahagathbandhan) দখলে রয়েছে। কিন্তু এইবার সমীকরণ শুধুমাত্র পুরনো মুখের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। নতুন মুখ (new faces) এবং জন সুরাজ-এর মতো নতুন দলের প্রবেশ मुकाबलाকে আরও রোমাঞ্চকর করে তুলেছে।

এনডিএ এবং মহাগঠবন্ধনের সরাসরি লড়াই

গত নির্বাচনের মতো এবারও মূল লড়াই ক্ষমতাসীন এনডিএ (NDA) এবং বিরোধী মহাগঠবন্ধনের মধ্যে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এইবার জন সুরাজ পার্টিও তাদের উপস্থিতি জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভোট ভাগাভাগি দুই বড় জোটের চিন্তার কারণ হতে পারে।

জাহানাবাদ আসনের ইতিহাস

২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জাহানাবাদ আসন থেকে জেডিইউ (JDU)-এর কৃষ্ণনন্দন প্রসাদ ভার্মা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। তার বিপরীতে আরজেডি (RJD) থেকে ছিলেন কুমার কৃষ্ণ মোহন ওরফে সুোদয় যাদব। সুোদয় যাদব টানা দ্বিতীয়বার জয়লাভ করেন এবং জেডিইউকে বড় পরাজয়ের সম্মুখীন হতে হয়।
অন্যদিকে, ২০১৮ সালের উপ-নির্বাচনেও আরজেডি-র সুোদয় যাদব এবং জেডিইউ-এর অভিরাম শর্মা মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু বাজিমাত করে আরজেডি। সেই নির্বাচনে আরজেডি প্রায় ৩৫ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।

ধারাবাহিক পরাজয় থেকে শিখছে এনডিএ

ধারাবাহিকভাবে দুইবার পরাজয়ের পর এনডিএ এবার আসন বাঁচাতে নতুন কৌশল তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবার আসন পুনর্বণ্টন (seat sharing) অথবা নতুন মুখকে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। জেডিইউ এবং হাম (Hindustani Awam Morcha) উভয় দল থেকেই নতুন প্রার্থী নির্বাচনী ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এনডিএ থেকে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী

মখদুমনপুর আসনে এনডিএ থেকে এখনও পর্যন্ত কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে দাবি করেনি, তবে দুই নেতার নাম জোরেশোরে আলোচনায় রয়েছে।

নিরঞ্জন কেশব প্রিন্স (JDU) – গত ছয় বছর ধরে জেডিইউ-এর সঙ্গে যুক্ত আছেন এবং দলের সক্রিয় নেতাদের মধ্যে গণ্য হন। করোনা কালে তাঁর সামাজিক ভূমিকার খুব প্রশংসা হয়েছিল।

চন্নু শর্মা (HAM) – ২০১৪ সাল থেকে তিনি দলের সঙ্গে যুক্ত এবং পঞ্চায়েত রাজনীতিতে তাঁর শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে।

দুই নেতার মতে, যদি তারা টিকিট পান, তবে তারা জয়ের নতুন ইতিহাস রচনা করতে পারবেন।

আরজেডি-তে টিকিট নিয়ে লড়াই

মখদুমনপুর আসন মহাগঠবন্ধনের দখলে রয়েছে এবং বর্তমানে আরজেডি বিধায়ক সতীশ দাস এখান থেকে প্রতিনিধিত্ব করছেন। কিন্তু এইবার টিকিট নিয়ে দলের অভ্যন্তরে কড়া প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা যাচ্ছে।
আরজেডি নেত্রী সংজু কোহলি এবং কুমারী সুমন সিদ্ধার্থ টিকিট পাওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। দুজনেরই তৃণমূল স্তরে শক্তিশালী দখল রয়েছে বলে মনে করা হয় এবং দলের সংগঠনেও তাঁদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল।

পূর্ববর্তী নির্বাচনের ফলাফল

২০২০ সালের নির্বাচনে আরজেডি-র সতীশ দাস হাম-এর দেবেন্দ্র কুমারকে ২২,৫৬৫ ভোটে পরাজিত করেছিলেন। এই জয় দেখায় যে মখদুমনপুর আসনে মহাগঠবন্ধনের দখল শক্তিশালী, কিন্তু এনডিএ-ও এখন আগের ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

নতুন দলের প্রবেশে সমীকরণ বদলাবে?

এইবার জাহাানাবাদে জন সুরাজ পার্টিও ময়দানে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এই নতুন দলটি ভোট ভাগাভাগি করতে পারে এবং ফলাফলের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে। জন সুরাজ দাবি করছে যে তারা ঐতিহ্যবাহী রাজনীতির বাইরে একটি নতুন মডেল (new model of politics) নিয়ে এসেছে এবং জনগণকে একটি বিকল্প দেবে।

Leave a comment