এআইয়ের প্রভাবে তরুণদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

এআইয়ের প্রভাবে তরুণদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা

স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে যে জেনারেটিভ এআই (Generative AI) ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের চাকরির উপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। বিশেষ করে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিসের মতো ক্ষেত্রগুলোতে এন্ট্রি-লেভেল বা শিক্ষানবিশ স্তরের চাকরি কমে যাচ্ছে। অভিজ্ঞ কর্মীরা তুলনামূলকভাবে নিরাপদ, কিন্তু তরুণদের জন্য চাকরি পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

এআই-এর প্রভাব: স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুসারে, ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে আমেরিকাতে এআই-এর কারণে বিশেষ করে সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট এবং কাস্টমার সার্ভিস ক্ষেত্রে ২২ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণদের চাকরির সুযোগ প্রায় ১৬ শতাংশ কমে গেছে। ChatGPT-এর মতো জেনারেটিভ এআই টুলগুলো शुरुआती স্তরের কোডার এবং কাস্টমার সার্ভিস কর্মীদের কাজ স্বয়ংক্রিয় করে তাদের চাকরি কমিয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে, অভিজ্ঞ কর্মীরা তাঁদের অভিজ্ঞতা-ভিত্তিক কাজে আরও বেশি কার্যকর থেকে যাচ্ছেন। এই গবেষণাটি বলছে যে এআই-এর তরুণদের চাকরিতে সুনির্দিষ্ট এবং অসম প্রভাব রয়েছে, যার ফলে তাঁদের নতুন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।

যুব কর্মীদের উপর এআই-এর প্রভাব

রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল থেকে এআই-এর কারণে তরুণ কর্মীদের চাকরিতে প্রায় ১৬ শতাংশ পতন হয়েছে। शुरुआती স্তরের কোডার এবং ডেভেলপাররা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কারণ এআই দ্রুত কোডিং, ডিবাগিং এবং অন্যান্য রুটিন কাজ করতে সক্ষম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এর প্রধান কারণ হল পুঁথিগত বিদ্যা এবং অন্তর্নিহিত জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য। যেখানে এআই সাধারণ এবং নিয়ম-ভিত্তিক কাজ করতে পারে, সেখানে অভিজ্ঞতালব্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং জটিল সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এখনও মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান।

কর্মসংস্থানের পরিবর্তনশীল কাঠামো এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ

এই গবেষণা স্পষ্টভাবে জানায় যে এআই চাকরি সম্পূর্ণরূপে শেষ করছে না, বরং তরুণ এবং অভিজ্ঞ কর্মীদের উপর আলাদা প্রভাব ফেলছে। প্রাথমিক স্তরের পদগুলো কমে যাচ্ছে, যেখানে আরও অভিজ্ঞ এবং দক্ষ কর্মীদের চাহিদা বজায় রয়েছে। এই পরিবর্তন কর্মসংস্থান বাজারের কাঠামো পরিবর্তন করছে, যার ফলে শিল্প জগৎ এবং নীতি নির্ধারকরা নতুন চ্যালেঞ্জ এবং সুযোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। তাই, তরুণ কর্মীদের তাদের দক্ষতা আপডেট করতে এবং পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে।

স্ট্যানফোর্ডের এই গবেষণা থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে এআই-এর তরুণ কর্মীদের কর্মসংস্থানের উপর গভীর প্রভাব পড়ছে। তবে, এই পরিবর্তন শুধু চাকরি কমার কারণ নয়, বরং নতুন সুযোগও নিয়ে আসছে। তাই, তরুণদের উচিত নিজেদের দক্ষতাকে ক্রমাগত উন্নত করা এবং প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের জন্য প্রস্তুত থাকা। কর্মসংস্থান বাজারে টিকে থাকার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি এবং নীতিনির্ধারকদের একসঙ্গে এমন পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, যা তরুণদের এআই যুগের জন্য তৈরি করবে।

Leave a comment