ছিন্দওয়াড়া কাশির সিরাপ কাণ্ড: মধ্যপ্রদেশে কোডিনযুক্ত সিরাপ বিক্রিতে কড়া নিয়ম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

ছিন্দওয়াড়া কাশির সিরাপ কাণ্ড: মধ্যপ্রদেশে কোডিনযুক্ত সিরাপ বিক্রিতে কড়া নিয়ম, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

মধ্যপ্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা ছিন্দওয়াড়া কাশির সিরাপ কাণ্ডকে একটি গুরুতর অপরাধ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এই ঘটনার জন্য দায়ী সংস্থার কর্মী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

মধ্যপ্রদেশ: ছিন্দওয়াড়া কাশির সিরাপ কাণ্ডের পর মধ্যপ্রদেশ সরকার কড়া অবস্থান নিয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা এটিকে একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করে দোষী সংস্থার কর্মী এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। মন্ত্রী এই বিষয়ে তামিলনাড়ুর স্বাস্থ্য দলের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশও দিয়েছেন, যাতে দোষীদের যত দ্রুত সম্ভব জবাবদিহির আওতায় আনা যায়।

এই ঘটনার পর্যালোচনা এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগ একটি ঘটনা পর্যালোচনা বৈঠক ডেকেছিল। বৈঠকে অবিলম্বে কার্যকর হতে পারে এমন অনেক নতুন নিয়ম নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার উদ্দেশ্য হলো কোডিনযুক্ত ওষুধের বিক্রয়, মজুত এবং গুণমানের উপর কঠোর নজরদারি করা।

কাশির সিরাপ এবং কোডিন নিয়ে নতুন নিয়মাবলী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেন্দ্র শুক্লা স্পষ্ট করেছেন যে এখন কোডিনযুক্ত কাশির সিরাপ উৎপাদন ও বিক্রিতে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করা হবে। এর আওতায় সরকার CDSCO (Central Drugs Standard Control Organization)-এর সাথে একত্রে কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলির নিবিড় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিশেষত কোল্ড্রিফ (Coldrif), রিলিফ (Relife) এবং রেসপিফ্রেশ টিআর (Respifresh TR)-এর মতো সিরাপগুলির উপর প্রতিদিন নজর রাখা হবে। মজুত, বিক্রয় এবং বাজেয়াপ্ত পরিমাণের রেকর্ড রাখা হবে এবং কোনো অনিয়ম পেলে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

  • ওষুধ শুধুমাত্র ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনে পাওয়া যাবে।
  • যদি কোনো সংস্থা এক মাসে ১,০০০ এর বেশি বোতল পাইকারি বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে।
  • অথবা পাইকারি বিক্রেতা ৫০টির বেশি বোতল খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করে।
  • তাহলে ড্রাগ ইন্সপেক্টর অবিলম্বে তদন্ত করবেন।

এছাড়াও, কোডিনযুক্ত ওষুধগুলি শুধুমাত্র ডাক্তারের প্রেসক্রিপশনেই পাওয়া যাবে। শেডিউল ওষুধের বিক্রি শুধুমাত্র একজন নিবন্ধিত ফার্মাসিস্টের উপস্থিতিতেই করা হবে। প্রতিটি বিক্রয় রেজিস্টারে ডাক্তার এবং রোগীর নামও লিপিবদ্ধ করা হবে।

মধ্যপ্রদেশ সরকার ভারতীয় ফার্মাকোপিয়া (Indian Pharmacopoeia)-এর সাধারণ মনোগ্রাফে DEG (Diethylene Glycol) এবং EG (Ethylene Glycol) পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে। এখন কাশির সিরাপ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এই ক্ষতিকারক রাসায়নিকগুলির নিয়মিত পরীক্ষা করতে হবে। এই পদক্ষেপের উদ্দেশ্য হলো ভবিষ্যতে যেকোনো প্রকার ক্ষতিকারক পদার্থ সেবনের কারণে সৃষ্ট স্বাস্থ্য সমস্যা প্রতিরোধ করা।

Leave a comment