ঋষি পঞ্চমী ব্রত ২০২৫ আজ ২৮শে আগস্ট সারা দেশে শ্রদ্ধা ও ভক্তির সাথে পালিত হচ্ছে। ভাদ্রপদ মাসের পঞ্চমী তিথিতে এই ব্রত সপ্তর্ষিগণকে শ্রদ্ধা জানাতে এবং রজস্বলা দোষ থেকে মুক্তি পেতে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে বিশেষ পূজা ও দান-ধ্যানের গুরুত্ব রয়েছে।
ঋষি পঞ্চমী ব্রত ২০২৫: আজ ২৮শে আগস্ট, বৃহস্পতিবার, হিন্দু ভক্তরা সারা দেশে ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ঋষি পঞ্চমী ব্রত পালন করছেন। নতুন দিল্লী সহ সারা দেশের মন্দির ও ঘরগুলিতে ভক্তরা সপ্তর্ষি—কশ্যপ, অত্রি, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, জমদগ্নি এবং বশিষ্ঠের পূজা করছেন। বিশেষভাবে মহিলারা এই ব্রত রজস্বলা দোষ থেকে শুদ্ধি ও আধ্যাত্মিক শান্তি লাভের জন্য করে থাকেন। শুভ মুহূর্তে করা পূজা সুখ, সমৃদ্ধি ও স্বাস্থ্যের আশীর্বাদ নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
ঋষি পঞ্চমী ব্রতের গুরুত্ব
ঋষি পঞ্চমী একটি উৎসব নয়, বরং একটি প্রায়শ্চিত্ত ব্রত হিসেবে বিবেচিত হয়। ধর্মীয় গ্রন্থগুলিতে বলা হয়েছে যে মাসিক ধর্মের সময় মহিলাদের দ্বারা অজান্তে করা কোনো ত্রুটি শুদ্ধ করার জন্য এই ব্রত পালন করা হয়। নেপাল ও ভারতের অনেক অংশে এই ঐতিহ্য প্রজন্ম ধরে চলে আসছে।
এই উপলক্ষে সপ্তর্ষি—কশ্যপ, অত্রি, ভরদ্বাজ, বিশ্বামিত্র, গৌতম, জমদগ্নি এবং বশিষ্ঠের পূজা করা হয়। ভক্তরা গঙ্গা বা কোনো পবিত্র নদীতে স্নান করে ব্রতের সূচনা করেন। বিশ্বাস করা হয় যে এই দিনে করা আচার-অনুষ্ঠান ব্যক্তির জীবনের পাপ থেকে মুক্তি দেয় এবং আধ্যাত্মিক শুদ্ধি লাভ হয়।
পূজার শুভ মুহূর্ত ও তারিখ
এই বছর পঞ্চমী তিথি ২৭শে আগস্ট দুপুর ৩:৪৪ মিনিটে শুরু হয়ে ২৮শে আগস্ট সন্ধ্যা ৫:৫৬ মিনিটে শেষ হবে। পূজা ও ব্রতের বিশেষ গুরুত্ব ২৮শে আগস্ট থাকবে। শাস্ত্র অনুসারে, ঋষি পঞ্চমীর শুভ মুহূর্ত সকাল ১১:০৫ থেকে দুপুর ১:৩৯ পর্যন্ত। এই সময়ে পূজা করলে ব্রতের সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যায়।
ব্রতটি হর্তালিকা তীজের দুই দিন পর এবং গণেশ চতুর্থীর একদিন আগে আসে। এই কারণে এটি একটি বিশেষ ধর্মীয় শৃঙ্খলার অংশ হিসাবে বিবেচিত হয় এবং ভক্তি ভরে এর পালন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
ঋষি পঞ্চমী পূজার বিধি
ব্রতের দিনে ভক্তরা খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে স্নান করেন এবং পূজার স্থান পরিষ্কার করেন। চৌকির উপর লাল কাপড় বিছিয়ে সপ্তর্ষিগণের ছবি স্থাপন করা হয়। এরপর ধূপ, দীপ, ফল, ফুল, ঘি ও পঞ্চামৃত অর্পণ করে ঋষিদের আহ্বান করা হয়।
পূজার সময় সপ্তর্ষিদের অর্ঘ্য দেওয়া হয় এবং মন্ত্র জপ করা হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই পদ্ধতিতে পূজা করলে কেবল পাপ নাশ হয় না, জীবনে ইতিবাচকতা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির সঞ্চার হয়।