আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) জীবনকে সহজ করেছে, কিন্তু এর মাধ্যমে অনলাইন প্রতারণা এবং ঠগবাজিও বাড়ছে। স্ক্যামাররা AI ব্যবহার করে ভয়েস ক্লোনিং, ডিপফেক ভিডিও এবং নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে মানুষকে ঠকাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই দ্রুত বাড়তে থাকা বিপদ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
AI স্ক্যাম: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) প্রযুক্তি এখন অনলাইন ঠগী এবং প্রতারণার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে। ভারত সহ বিশ্বজুড়ে স্ক্যামাররা AI টুলের সাহায্যে ভয়েস ক্লোনিং, ডিপফেক ভিডিও এবং নকল ওয়েবসাইট তৈরি করে মানুষকে ফাঁসাচ্ছে। এই প্রতারণা বিশেষভাবে বয়স্ক এবং সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই প্রযুক্তি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ সহজেই এর শিকার হতে পারে। তাই AI-এর সুবিধাগুলোর পাশাপাশি এর ঝুঁকিগুলো সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি।
AI ফ্রড: বিপদ এবং সতর্কতা জরুরি
আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) আমাদের জীবনকে সহজ করেছে এবং ডিজিটাল দুনিয়াকে স্মার্ট করেছে, কিন্তু এর সাথে স্ক্যামার এবং ঠগরাও এর ব্যবহার বাড়িয়ে দিয়েছে প্রতারণা ও জালিয়াতির জন্য। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেনারেটিভ AI এবং অ্যাডভান্সড সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রতারকরা শুধু ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে না, বরং কোম্পানির নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিশ্লেষণ করে তাদের ধোঁকা দেওয়ার নতুন উপায় খুঁজে বের করে। এই কারণে সাধারণ মানুষ এবং ব্যবসা উভয়ই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
AI ভিত্তিক ফ্রড দ্রুত বাড়ছে। স্ক্যামাররা এখন মানুষকে আকর্ষণীয় অফার, জাল পরিষেবা বা সোশ্যাল মিডিয়ার লিঙ্কের মাধ্যমে তাদের জালে ফাঁসায়। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারকরা ক্রমাগত নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করছে। তাই শুধুমাত্র AI-এর সুবিধা জানলেই যথেষ্ট নয়, বরং এর সম্ভাব্য ঝুঁকি এবং প্রতারণার পদ্ধতি সম্পর্কেও সতর্ক থাকা জরুরি।
ভয়েস ক্লোনিং স্ক্যাম
AI টুলস এখন কোনো ব্যক্তির কণ্ঠের হুবহু নকল করতে পারে। স্ক্যামাররা বয়স্কদের টার্গেট করে কল করে এবং তাদের নাতি-নাতনি বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্যের গলার স্বর নকল করে টাকার দাবি করে। এই ধরনের প্রতারণায় বয়স্করা বিভ্রান্ত হয়ে ঠগী শিকার হন।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন যে এই প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। ভয়েস ক্লোনিং ফ্রডের ঘটনা বৃদ্ধির কারণে ডিজিটাল নিরাপত্তা মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হচ্ছে। বয়স্কদের এই ধরনের কল থেকে সাবধান থাকার এবং কোনো আর্থিক তথ্য শেয়ার না করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
ডিপফেক ভিডিও এবং জাল ওয়েবসাইট
ডিপফেক ভিডিও, যা AI প্রযুক্তি থেকে তৈরি হয়, এখন স্ক্যামারদের জন্য একটি বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এই ভিডিওগুলোতে মানুষ পুরোপুরি আসল মনে হয়, বিশেষ করে যখন ক্লোন করা ভয়েস যোগ করা হয়। ঠগরা প্রায়শই সেলিব্রিটিদের ডিপফেক ভিডিও ব্যবহার করে মানুষকে বিভ্রান্তিকর ওয়েবসাইটে নিয়ে যায় এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।
এছাড়াও, AI ব্যবহার করে নকল ওয়েবসাইট তৈরি করা হচ্ছে। স্ক্যামাররা ইমেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে লিঙ্ক শেয়ার করে। এই জাল অনলাইন স্টোরগুলো সীমিত সময়ের জন্য সেল এবং বিশাল ছাড় দেখিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করে। কেনাকাটার সময় প্রবেশ করা পেমেন্ট ডিটেইলস চুরি করে স্ক্যামাররা অ্যাকাউন্ট খালি করে দিতে পারে।