কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মার বিদেশ বিভাগের সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা। তিনি কমিটিতে তরুণ এবং প্রতিভাবান নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সম্প্রতি বিদেশ সফরের পরেই এই ইস্তফা।
Anand Sharma Resigns: বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা अखिल ভারতীয় কংগ্রেস কমিটি (AICC)-র বিদেশ বিষয়ক বিভাগের (DFA) সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সংগঠনে তরুণ এবং প্রতিভাবান নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশ্যেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শর্মা তাঁর ইস্তফাপত্রে লিখেছেন, কমিটির পুনর্গঠন তার কাজকর্মের ধারাবাহিকতা এবং শক্তি উভয়ই বজায় রাখবে।
কংগ্রেসে তাঁর ভূমিকা
আনন্দ শর্মা দীর্ঘকাল ধরে কংগ্রেস পার্টিতে সক্রিয় এবং বিদেশ নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর গভীর জ্ঞানের জন্য পরিচিত। তিনি বর্তমানে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) সদস্য থাকবেন এবং পার্টিতে কৌশলগত এবং আলোচনা সংক্রান্ত অবদান অব্যাহত রাখবেন।
ইস্তফার সময় এবং প্রেক্ষাপট
তাঁর ইস্তফা সম্প্রতি ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পর একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বেশ কয়েকটি দেশ সফর শেষ করার পরেই এসেছে। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন এনসিপি-এসসিপি-র নেত্রী সুপ্রিয়া সুলে।
প্রতিনিধিদলে কারা ছিলেন
প্রতিনিধিদলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছিলেন, যাদের মধ্যে বিজেপির রাজীব প্রতাপ রুডি, অনুরাগ সিং ঠাকুর এবং ভি. মুরলীধরন, আম আদমি পার্টির বিক্রমজিৎ সিং সাহানি, কংগ্রেসের মণীশ তিওয়ারি, টিডিপির লভু কৃষ্ণ দেবরায়লু এবং প্রাক্তন কূটনীতিক সৈয়দ আকবরউদ্দিনও ছিলেন। এই সফরের সময় বিভিন্ন দেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বিশ্বব্যাপী সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়।
মণীশ তিওয়ারির প্রতিক্রিয়া
কংগ্রেস সাংসদ মণীশ তিওয়ারি আনন্দ শর্মার ইস্তফার প্রতিক্রিয়ায় তাঁর বিদেশি বিষয়গুলির অসাধারণ জ্ঞানের প্রশংসা করেছেন। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে লিখেছেন যে, তাঁর চার দশকের বেশি সময় ধরে আনন্দ শর্মার সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য এবং সম্মান হয়েছে। তিনি বিশেষভাবে আফ্রিকা সম্পর্কিত বিষয়ে শর্মার গভীর জ্ঞানকে ‘তীক্ষ্ণ’ বলে উল্লেখ করেছেন।