লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দুর্নীতি বিল পেশ করেছেন। এই বিল অনুসারে, যদি কোনও মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠে এবং তিনি ৩০ দিন न्यायिक হেফাজতে থাকেন, তবে তাঁকে পদ থেকে সরে যেতে হবে। বিরোধীরা এর বিরোধিতা করেছে।
Monsoon Session: লোকসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিল পেশ করেছেন, যা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী বা কোনও কেন্দ্রীয় বা রাজ্য মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ উঠলে এবং তিনি যদি ৩০ দিন পর্যন্ত न्यायिक হেফাজতে থাকেন, তবে তাঁকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পদ থেকে সরে যেতে হবে। এই বিলের উদ্দেশ্য রাজনীতিতে শুচিতা এবং নৈতিকতা বজায় রাখা বলে জানানো হয়েছে।
বিরোধীদের বিরোধিতা ও হট্টগোল
বিল পেশ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই লোকসভায় বিরোধীরা জোরদার হট্টগোল শুরু করে দেয়। কংগ্রেস, এসপি এবং টিএমসি এটিকে সংবিধানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ বলে অভিহিত করেছে। আসাদুদ্দিন ওয়াইসিও এই বিলের বিরোধিতা করেছেন। বিরোধী সাংসদরা জোরে স্লোগান দিতে থাকেন এবং সংসদের কাজকর্ম ব্যাহত হয়।
অমিত শাহ তাঁর অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়েছেন
বিরোধীদের প্রতিবাদের মধ্যে অমিত শাহ তাঁর অভিজ্ঞতার উদাহরণ দিয়ে বলেন যে রাজনীতিতে শুচিতা বজায় রাখা খুবই জরুরি। তিনি জানান, গুজরাটে মন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কিন্তু তিনি গ্রেফতার হওয়ার আগেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন এবং আদালতের নির্দেশ মেনেছিলেন। এরপর যখন অভিযোগ থেকে মুক্তি পান, তখন তিনি আবার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন যে এই বিল নেতাদের নৈতিক দায়িত্ব নিশ্চিত করে। যদি কোনও নেতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ ওঠে এবং তিনি ৩০ দিন পর্যন্ত न्यायिक হেফাজতে থাকেন, তবে তাঁকে পদ থেকে সরতেই হবে। এর লক্ষ্য হল তদন্তকারী সংস্থাগুলির উপর যেন কোনও চাপ না থাকে এবং রাজনীতিতে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।