আরবিআই সরকারকে দিল রেকর্ড ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড

আরবিআই সরকারকে দিল রেকর্ড ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড
সর্বশেষ আপডেট: 24-05-2025

আরবিআই সরকারকে ২.৭০ লক্ষ কোটি টাকার রেকর্ড ডিভিডেন্ড দেওয়ার ঘোষণা করেছে। এই অর্থ দেশের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, ট্যারিফ বিরোধ এবং প্রতিরক্ষা প্রয়োজনীয়তা পূরণে সহায়তা করবে।

আরবিআই: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সরকারকে রেকর্ড ডিভিডেন্ড প্রদানের ঘোষণা করেছে। আরবিআই কেন্দ্রীয় সরকারকে ২.৬৯ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড প্রদান করবে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২৭.৪ শতাংশ বেশি। এই অর্থ এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড, যা সরকারের কোষাগারকে শক্তিশালী করবে এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে উন্নত করবে। আসুন এই সিদ্ধান্তের তাৎপর্য এবং এর প্রভাব বুঝে নেই।

আরবিআই কেন সরকারকে এত বড় ডিভিডেন্ড দিল?

আরবিআই-এর এই ডিভিডেন্ড সরকারের জন্য অত্যন্ত স্বস্তি বয়ে এনেছে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আরবিআই সরকারকে ২.১ লক্ষ কোটি টাকার ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই অর্থ ছিল ৮৭,৪১৬ কোটি টাকা। এইভাবে আরবিআই-এর ডিভিডেন্ড ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং রিজার্ভ ব্যাংকের আয়ের ইঙ্গিত বহন করে।

আরবিআই-এর আয়ের উৎস কী?

আরবিআই-এর কাছে এত টাকা কোথা থেকে আসে? এর অনেক উৎস রয়েছে। সবচেয়ে বড় অংশ আরবিআই-এর বিদেশী মুদ্রা সম্পদ (Foreign Currency Assets) থেকে আসে। আরবিআই তার ব্যালেন্স শিটে প্রায় ৭০ শতাংশ বিদেশী মুদ্রা সম্পদ রাখে, যা বিদেশী মুদ্রার বিনিয়োগ থেকে ভালো আয় করে। এছাড়াও আরবিআই সরকারি বন্ড (Government Bonds) থেকে সুদ আয় করে, যা তার আয়ের ২০ শতাংশ।

আরবিআই ডলার রিজার্ভে রাখে এবং যখন ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তখন তা বিক্রি করে ভালো রিটার্ন পায়। পাশাপাশি, আরবিআই বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংককে ঋণ দেয়, যা থেকে সুদের আকারে আয় হয়। ফরেন এসেটসের রিভ্যালুয়েশন (Revaluation) অর্থাৎ বিদেশী সম্পদ এবং সোনার পুনর্মূল্যায়নও আরবিআই-এর আয় বৃদ্ধি করে। উচ্চমূল্যে সোনা বিক্রি করে আরবিআই বিপুল লাভ করে।

সরকার এই রেকর্ড ডিভিডেন্ডের ব্যবহার কীভাবে করবে?

এই ডিভিডেন্ড আকারে সরকারের কাছে প্রচুর অর্থ আসার ফলে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং উন্নয়নমূলক কাজগুলিকে এগিয়ে নিতে সহায়তা পাবে। বিশেষ করে, আমেরিকা কর্তৃক আরোপিত ট্যারিফ (Tariff) এবং পাকিস্তানের সাথে বর্ধমান উত্তেজনা (Defense Challenges) এর মধ্যে এই অর্থ প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় কার্যকরী হবে।

সরকার এই অর্থ দিয়ে তার ঋণ (Debt) কমাতে পারে, যার ফলে অর্থনৈতিক চাপ কমবে। পাশাপাশি, এই কোষাগার খরচ (Consumption) বৃদ্ধি করবে এবং EMI (ইএমআই)-তেও হ্রাস আসবে, যা সাধারণ জনগণের জন্য স্বস্তির কারণ হবে। इससे शेयर मार्केट (Share Market) को भी फायदा होगा এবং ব্যাংকিং সেক্টরে লিকুইডিটি (Liquidity) বৃদ্ধি পাবে।

আরবিআই-এর আকস্মিক ঝুঁকি বাফার বৃদ্ধি করা হয়েছে

আরবিআই ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য তার আকস্মিক ঝুঁকি বাফার (Contingency Risk Buffer - CRB) ৭.৫০ শতাংশে উন্নীত করেছে। এই বাফার কেন্দ্রীয় বোর্ডের ১৫ মে, ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত বৈঠকে নির্ধারিত হয়েছে। এই বাফারের অর্থ হল আরবিআই-এর কাছে ভবিষ্যতে কোনও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট অর্থ নিরাপদে থাকবে। इससे ব্যাংকিং সিস্টেমে স্থায়িত্ব বজায় থাকবে।

আরবিআই-এর এই সিদ্ধান্তের ভারতের অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে?

আরবিআই-এর এই রেকর্ড ডিভিডেন্ড সরকারকে অর্থনৈতিক দিক থেকে শক্তিশালী করবে। আমেরিকার সাথে চলমান ট্যারিফ বিরোধ এবং প্রতিবেশী পাকিস্তানের সাথে বর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে এই অর্থ সরকারের জন্য একটি বড় শক্তি হিসেবে প্রমাণিত হবে। প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি, বিদেশী বাণিজ্য ভারসাম্য রক্ষা এবং অর্থনৈতিক সংস্কারে বিনিয়োগের জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল পাওয়া যাবে।

এছাড়াও, সরকারের কাছে বেশি সম্পদ থাকার ফলে উন্নয়ন প্রকল্পগুলি দ্রুততর হবে, বেকারত্ব কমবে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার উন্নত হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে লিকুইডিটি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সুদের হারে উন্নতি আসতে পারে, যার ফলে ঋণ নেওয়া সস্তা হবে। এগুলি মিলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করবে।

আরবিআই-এর ডিভিডেন্ড কীভাবে নির্ধারণ করা হয়?

প্রতিটি অর্থবছরের শেষে আরবিআই তার আয় এবং ব্যয়ের হিসাব করে। এরপর যে शुद्ध লাভ बचता है, তাকে "সারপ্লাস" বলা হয়। এই সারপ্লাসের একটা অংশ সরকারকে ডিভিডেন্ড হিসেবে দেওয়া হয়। ডিভিডেন্ডের পরিমাণ আরবিআই-এর অর্থনৈতিক মূলধন কাঠামো (Economic Capital Framework - ECF) এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়।

আরবিআই-এর কেন্দ্রীয় পরিচালন পর্ষদ এবং অর্থ মন্ত্রণালয় এই পরিমাণ অনুমোদন করে। এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা এবং নিয়মের আওতায় হয়, যার ফলে সরকার এবং আরবিআই উভয়েরই স্বার্থ সুরক্ষিত থাকে।

আরবিআই-এর ডিভিডেন্ড থেকে সাধারণ জনগণের কী উপকার হবে?

আরবিআই-এর রেকর্ড ডিভিডেন্ড সরাসরি সাধারণ জনগণের জীবনেও প্রভাব ফেলবে। সরকারের কাছে বেশি অর্থ থাকার ফলে তিনি সামাজিক কর্মসূচি এবং উন্নয়ন প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে পারবেন। इससे रोजगार के नए अवसर बनेंगे এবং লোকদের আয় বৃদ্ধি পাবে।

পাশাপাশি, ঋণের হার কমে যাওয়ার ফলে বাড়ি কেনা, গাড়ি কেনা অথবা অন্যান্য বড় খরচের জন্য ঋণ নেওয়া সহজ হবে। ব্যাংকিং সেক্টরে লিকুইডিটি বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সুদের হারে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

Leave a comment