রাজস্থানে কৃত্রিম বৃষ্টি: খরা মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত

রাজস্থানে কৃত্রিম বৃষ্টি: খরা মোকাবিলায় নতুন দিগন্ত

কৃত্রিম বৃষ্টি রাজস্থানের জন্য একটি নতুন সূচনা। যদি এটি সফল হয়, তবে এটি খরা উপশম এবং কৃষি উন্নয়নে বিপ্লবী প্রমাণিত হতে পারে। এখন প্রয়োজন এটিকে সঠিক উপায়ে প্রয়োগ করা এবং জল সংরক্ষণের প্রতি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা।

কৃত্রিম বৃষ্টি: রাজস্থানের ভূমি, যা গ্রীষ্মে জ্বলে এবং বর্ষাকালেও প্রায়শই শুষ্ক থাকে, এখন একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তনের দিকে পদক্ষেপ নিয়েছে। রাজ্যে প্রথমবারের মতো কৃত্রিম বৃষ্টি (Artificial Rain) প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা আশা করা যায় যে শুষ্ক এলাকার তৃষ্ণা কিছুটা হলেও মেটাতে পারবে। জয়পুর জেলার জামওয়ারামগড় বাঁধ এলাকায় এর প্রথম প্রয়োগ ৩১ জুলাই দুপুর ৩টায় করা হবে। কৃষিমন্ত্রী ডঃ কিরোড়ী লাল মীনা এই महत्वाकांक्षी প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন এবং তিনি সাধারণ মানুষকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য আবেদনও করেছেন।

কৃত্রিম বৃষ্টি কী?

কৃত্রিম বৃষ্টিকে বিজ্ঞানের ভাষায় 'ক্লাউড সিডিং' বলা হয়। এই প্রক্রিয়ায়, বিজ্ঞানীরা বিশেষ রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে মেঘে স্প্রে করেন, যার ফলে আর্দ্রতার কণা সক্রিয় হয়ে বৃষ্টিতে রূপান্তরিত হয়। এই প্রযুক্তি প্রাকৃতিক বৃষ্টিকে ট্রিগার করার কাজ করে, বিশেষ করে সেইসব অঞ্চলে যেখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে কিন্তু ফোঁটাগুলো মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না।

কীভাবে ক্লাউড সিডিং হয়?

এই প্রক্রিয়াটিকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়:

১. বাতাসকে উপরে তোলা

প্রথমত, মাটি থেকে ওঠা গরম বাতাসকে আরও উপরে পাঠানোর জন্য বিশেষ রাসায়নিক যেমন ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ব্যবহার করা হয়।

২. মেঘকে ভারী করা

দ্বিতীয় পর্যায়ে, এই রাসায়নিকগুলির মাধ্যমে মেঘের ভর (mass) বাড়ানো হয় যাতে তাদের মধ্যে জল জমা হতে পারে।

৩. বৃষ্টির সক্রিয়করণ

শেষ পর্যায়ে, সিলভার আয়োডাইড এবং শুকনো বরফের মতো যৌগগুলি ড্রোন বা বিশেষ বিমানের সাহায্যে মেঘে ঢালা হয়, যার ফলে তাদের মধ্যে থাকা জলের ক্ষুদ্র কণা आपस में মিলিত হয়ে বৃষ্টির আকারে মাটিতে পড়ে।

কেন এই পরীক্ষা রাজস্থানের জন্য বিশেষ?

রাজস্থান, বিশেষ করে এর পূর্ব ও পশ্চিম অংশ, দীর্ঘদিন ধরে জল সংকটে ভুগছে। জলাধার শুকিয়ে যায়, কৃষকরা বৃষ্টির অপেক্ষায় ঋণে ডুবে যায় এবং পানীয় জলের জন্য গ্রামীণ অঞ্চলে হাহাকার পড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে, এই প্রযুক্তি আশার আলো হয়ে এসেছে। যদি এই পরীক্ষা সফল হয়, তবে কেবল জলের সংকট দূর হবে না, ফসলের সেচ এবং ভূগর্ভস্থ জল রিচার্জেও সাহায্য করবে।

কোথায় প্রথম পরীক্ষা হবে?

জয়পুর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জামওয়ারামগড় বাঁধ এলাকাকে এই পরীক্ষার জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এই অঞ্চলটি ভূগোলের দিক থেকে উপযুক্ত কারণ এখানে বর্ষাকালে মেঘ আসে, তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয় না। ক্লাউড সিডিং প্রযুক্তির মাধ্যমে এই মেঘগুলোকে বৃষ্টিতে রূপান্তরিত করা হবে।

দেশের অন্যান্য রাজ্যেও এই পরীক্ষা হয়েছে

যদিও রাজস্থানে এটি প্রথমবার হচ্ছে, তবে দেশের অন্যান্য রাজ্যে এই প্রযুক্তি আগে থেকেই ব্যবহার করা হয়েছে:

  1. তামিলনাড়ু: ১৯৮৩ সালে প্রথম ক্লাউড সিডিং-এর प्रयोग हुआ।
  2. কর্ণাটক: ২০০৩-০৪ সালে খরার হাত থেকে বাঁচতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
  3. মহারাষ্ট্র: ২০০৯ সালে अमेरिकी প্রযুক্তি ব্যবহার করে ক্লাউড সিডিং করা হয়।
  4. অন্ধ্র প্রদেশ: বহু বছর ধরে এই প্রযুক্তি চলছে।
  5. দিল্লি: গত বছর দূষণ কমাতে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছিল, তবে कार्यान्वयन করা যায়নি।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

मौसम वैज्ञानिकों এর মতে क्लाउड সিডিং-এর সাফল্য মেঘের আর্দ্রতা এবং আবহাওয়ার পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে। এটি কোনো নিশ্চিত বৃষ্টির প্রক্রিয়া নয়, তবে সঠিক পরিস্থিতি পেলে এটি अत्यधिक प्रभावशाली साबित হতে পারে। রাজস্থানের मौसम विभाग এবং জল সম্পদ विभाग এই পরীক্ষা নিয়ে पूरी तैयारी তে লেগে আছে। ডাটা एनालिसिस, হিউমিডিটি মনিটরিং এবং আবহাওয়া উপग्रह থেকে डेटा ट्रैकिंग ও করা হচ্ছে।

Leave a comment