ওয়েইসি এশিয়া কাপ ২০২৫-এ ভারত-পাক ম্যাচের বিরোধিতা করেছেন। বলেছেন- যখন কূটনৈতিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য বন্ধ, তখন ম্যাচ খেলা জাতীয় আবেগের অপমান হবে।
Owaisi News: এশিয়া কাপ ২০২৫-এ ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ নিয়ে এআইএমআইএম প্রধান আসাদুদ্দিন ওয়েইসি বিরোধিতা জানিয়েছেন। তিনি লোকসভায় বলেছেন, যখন বাণিজ্য, জলপথ এবং আকাশপথ বন্ধ, তখন ক্রিকেট ম্যাচ খেলা শহিদদের আত্মত্যাগের অপমান। তিনি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন যে, তারা কি শহিদদের পরিবারকে এটা বোঝাতে পারবে?
ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে ওয়েইসির কড়া বিরোধিতাএশিয়া কাপ ২০২৫ (Asia Cup 2025)-এর সূচি ঘোষণার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ১৪ সেপ্টেম্বর হতে চলা ম্যাচ নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এআইএমআইএম প্রধান এবং হায়দরাবাদের সাংসদ আসাদুদ্দিন ওয়েইসি এই ম্যাচের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। লোকসভায় 'অপারেশন সিন্দুর' (Operation Sindoor) নিয়ে বিশেষ আলোচনার সময় ওয়েইসি কেন্দ্র সরকারের কাছে প্রশ্ন তুলেছেন।
'যখন রক্ত আর জল একসঙ্গে বইতে পারে না, তখন ক্রিকেট কেন?'
ওয়েইসি লোকসভায় বলেন, "যখন পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ, তাদের জাহাজ আমাদের আকাশসীমায় আসতে পারে না, তাদের নৌকা আমাদের নদীতে আসতে পারে না, তাহলে ক্রিকেট ম্যাচ কেন হচ্ছে?" তিনি বলেন যে, ভারত সরকারের এই মনোভাব দ্বিমুখী। একদিকে আমরা বলি যে পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই, অন্যদিকে আমরা তাদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলি।
শহিদদের অপমান সহ্য করা হবে না
আসাদুদ্দিন ওয়েইসি পহেলগাম জঙ্গি হামলার প্রসঙ্গ টেনে বলেন যে, এই ঘটনা কয়েক মাস আগেই ঘটেছে। ২০২২ সালের ২২ এপ্রিল হওয়া এই হামলায় ২৫ জন পর্যটক ও একজন স্থানীয় ঘোড়া চালক নিহত হয়েছিলেন। ওয়েইসি প্রশ্ন করেন যে, সরকার কি এই শহিদদের পরিবারের কাছে গিয়ে বলতে পারবে যে, আমরা 'অপারেশন সিন্দুর' দিয়ে বদলা নিয়েছি, এখন আপনারা ভারত-পাক ক্রিকেট ম্যাচের আনন্দ নিন?
লোকসভায় ধ্বনিত 'অপারেশন সিন্দুর'-এর প্রভাব
'অপারেশন সিন্দুর'-এর অধীনে ভারত পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে (PoK) অবস্থিত নয়টি জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালায়। এতে ১০০-র বেশি জঙ্গিকে খতম করা হয়েছিল। পহেলগাম হামলার পরেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। যদিও বিরোধীরা মনে করেন, এরকম গুরুতর জাতীয় আঘাতের পর পাকিস্তানের সঙ্গে কোনো রকম প্রকাশ্য মেলামেশা, যেমন ক্রিকেট, ঠিক নয়।
বিবেক সায় দেয় না: ওয়েইসি
ওয়েইসি সংসদে বলেন, "আমার বিবেক আমাকে এই ম্যাচ দেখতে অনুমতি দেয় না। এটা उन शहीदों की शहादत का অপমান।" তিনি বলেন যে, ভারতের উচিত স্পষ্ট কূটনৈতিক বার্তা (diplomatic message) দেওয়া যে, যতদিন না পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদকে (terrorism) উৎসাহ দেওয়া বন্ধ করে, ততদিন পর্যন্ত কোনো স্তরেই স্বাভাবিক কাজকর্ম সম্ভব নয়।