রায়বেরেলীতে প্রাক্তন মন্ত্রী স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর হামলার ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। হামলাকারী যুবককে ১১ লক্ষ টাকার একটি চেক দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু সেটিতে ওভাররাইটিং থাকার কারণে ব্যাংক পেমেন্ট আটকে দিয়েছে। এখন এই চেক বিতর্ক রাজনৈতিক ও সামাজিক আলোচনার অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে, পাশাপাশি পুলিশ হামলা এবং পেমেন্ট সংক্রান্ত পুরো ঘটনার তদন্ত করছে।
Uttar Pradesh: ৬ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে রায়বেরেলীতে আয়োজিত একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও আপনা জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর এক যুবক আচমকা হামলা চালায়। ঘটনার পর সলোন এলাকার আশিস তিওয়ারি হামলাকারীকে ১১ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে সম্মানিত করেন এবং ২১ লক্ষ টাকার বড় পুরস্কারের ঘোষণাও করেন। তবে, ব্যাংক চেকে ওভাররাইটিং পাওয়ায় পেমেন্ট আটকে দিয়েছে। এই বিতর্ক রাজনৈতিক চাপানউতোর এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ঘটনা ও পুরস্কার ঘোষণা
উত্তর প্রদেশের প্রাক্তন ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং আপনা জনতা পার্টির জাতীয় সভাপতি স্বামী প্রসাদ মৌর্যের উপর ৬ অগাস্ট, ২০২৫ তারিখে রায়বেরেলীর সিভিল লাইন এলাকায় হামলা হয়। এক যুবক তাঁর অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের সময় পিছন থেকে এসে মাথায় আঘাত করে। এই ঘটনার পর সলোন থানা এলাকার আশিস তিওয়ারি হামলাকারী রোহিত দ্বিবেদীকে ১১ লক্ষ টাকার একটি চেক দিয়ে সম্মানিত করেন এবং ঘোষণা করেন যে, যে-ই মৌর্যকে জুতো মারবে, তাকে ২১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তিওয়ারি এই পদক্ষেপকে সনাতন ধর্মের অবমাননার প্রতিবাদ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
চেক বিতর্কে ফেঁসে গেল মামলা
হামলাকারীকে দেওয়া ১১ লক্ষ টাকার চেকটি এখন বিতর্কে জড়িয়েছে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, চেকে ওভাররাইটিং থাকার কারণে এর পেমেন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এই কারণে চেকটি আপাতত অপ্রযোজ্য এবং এর আইনি পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা চলছে। এই ঘটনা স্থানীয় স্তর থেকে শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়া পর্যন্ত উত্তপ্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যেখানে মানুষ এই পুরস্কারের বৈধতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।
মৌর্যের বক্তব্য ও রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া
হামলার পরপরই স্বামী প্রসাদ মৌর্য যোগী সরকারের উপর গুরুতর অভিযোগ তোলেন। তিনি বলেন যে, উত্তর প্রদেশে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি খুবই খারাপ এবং পুলিশের উপস্থিতিতেও হামলা হচ্ছে। মৌর্য সরকারের বিরুদ্ধে গুন্ডারাজ এবং কিছু বিশেষ জাতিকে ছাড় দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। একই সময়ে, বিরোধীরাও এই ঘটনাকে আইন-শৃঙ্খলার ব্যর্থতার সাথে যুক্ত করে সরকারের উপর আক্রমণ করেছে। পুলিশ বর্তমানে হামলা এবং চেক সংক্রান্ত বিতর্ক, দুটোই তদন্ত করছে।