হরিয়ানাতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে ৬৫৫টি বেসরকারি হাসপাতাল বকেয়া টাকা না পাওয়ায় ১৭ দিন ধরে চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। ২৪শে আগস্ট পানিপথে ডাক্তাররা বৈঠক করে আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করেন। ক্রমাগত বিল পরিশোধে দেরি এবং অনিয়মিত কাটার কারণে হাসপাতালগুলি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
চণ্ডীগড়: হরিয়ানাতে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের অধীনে বেসরকারি হাসপাতালগুলি বকেয়া বিলের টাকা না পাওয়ায় ১৭ দিন ধরে চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। রাজ্যজুড়ে প্রায় ৬৫৫টি বেসরকারি হাসপাতাল এই প্রকল্পের রোগীদের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। শনিবার হিসারে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (IMA)-এর বৈঠকে ডাক্তাররা সরকারের এই পরিস্থিতিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
IMA-র জেলা সভাপতি ডাঃ রেণু ছাবড়া ভাটিয়া বলেছেন, সরকার হাসপাতালগুলিকে নোটিশ পাঠিয়ে এবং ডাক্তারদের হয়রানি করে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার চেষ্টা করছে। ক্রমাগত বিল পরিশোধে দেরির কারণে হাসপাতালগুলি বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
২৪শে আগস্ট পানিপথে রাজ্য স্তরের ডাক্তারদের বৈঠক
এই সমস্যা নিয়ে ২৪শে আগস্ট পানিপথে রাজ্য স্তরের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। বৈঠকে ডাক্তাররা আগামী দিনের আন্দোলন এবং পদক্ষেপের পরিকল্পনা করেছেন। ডাক্তারদের বক্তব্য, ক্রমাগত বিল পরিশোধে দেরির কারণে তাঁরা বাধ্য হয়ে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছেন।
ডাঃ ছাবড়া জানিয়েছেন, হিসার জেলাতেই ৭০টি বেসরকারি হাসপাতাল আয়ুষ্মান প্রকল্পের অধীনে পরিষেবা দিচ্ছিল, যা এখন চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে রোগীদের পরিষেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে এবং স্বাস্থ্য সংকট বাড়ছে।
বেসরকারি হাসপাতালগুলির ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া
ডাঃ রেণু ছাবড়া জানিয়েছেন, মার্চ ২০২৫-এর পর থেকে অনেক হাসপাতাল কোনো বিল পরিশোধ পায়নি। বেসরকারি হাসপাতালগুলির ৪০০ থেকে ৫০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। বিল পরিশোধে ক্রমাগত দেরি, অপ্রয়োজনীয় কাটিং এবং প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে হাসপাতালগুলি বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হার খুবই কম, যার ফলে খরচ তোলা কঠিন হয়ে পড়েছে। বারবার নথিপত্রের চাহিদা এবং বিলের প্রক্রিয়াকরণে অতিরিক্ত বিলম্ব প্রশাসনিক চাপ বাড়াচ্ছে। এতে হাসপাতালগুলোর দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।
টাকা না পাওয়ায় হাসপাতাল ও রোগী উভয়েই সমস্যায়
ডাঃ ছাবড়া জানিয়েছেন, এই সমস্যার কারণে শুধু হাসপাতালের কাজকর্মই ব্যাহত হচ্ছে না, কর্মীদের বেতন, ওষুধ এবং চিকিৎসা সরঞ্জাম কেনাতেও গুরুতর প্রভাব পড়েছে। অনেক হাসপাতাল কর্মীদের বেতন দিতে পারছে না এবং রোগীদের পরিষেবা দিতেও অসুবিধা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি, ডাক্তাররা বলছেন, যদি দ্রুত বিল পরিশোধ না করা হয়, তাহলে বেসরকারি স্বাস্থ্যখাত আরও বড় আর্থিক সংকটে পড়তে পারে। এটি সরাসরি রোগীদের স্বাস্থ্য এবং চিকিৎসার গুণগত মানের ওপর প্রভাব ফেলবে।