ব্লকবাস্টার বাজিরাও মাস্তানি: বক্স অফিস সাফল্য, পুরস্কার ও অবিস্মরণীয় গল্প

ব্লকবাস্টার বাজিরাও মাস্তানি: বক্স অফিস সাফল্য, পুরস্কার ও অবিস্মরণীয় গল্প

‘বাজিরাও মাস্তানি’ একটি ঐতিহাসিক রোমান্টিক চলচ্চিত্র যা প্রেম, ত্যাগ এবং আবেগের সংঘাতকে মহিমান্বিতভাবে তুলে ধরেছে। সঞ্জয় লীলা ভানসালীর এই ছবিতে রণবীর সিং, দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অসাধারণ অভিনয় করেছেন। প্রায় 357 কোটি টাকা আয়ের সাথে ছবিটি ব্লকবাস্টার প্রমাণিত হয়েছে এবং বেশ কয়েকটি জাতীয় ও ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছে।

বাজিরাও মাস্তানি কালেকশন: 2015 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সঞ্জয় লীলা ভানসালীর ছবি ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ভারতীয় সিনেমায় ঐতিহাসিক প্রেমের গল্পকে এক নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করেছে। এই পিরিয়ড ড্রামায় রণবীর সিং পেশওয়া বাজিরাওয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যেখানে দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া যথাক্রমে মাস্তানি ও কাশীবাঈয়ের ভূমিকায় দর্শকদের মন জয় করেছেন। ছবিটি দিল্লি ও মুম্বাই সহ সারা দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এবং অসাধারণ পারফরম্যান্সের সাথে 357 কোটি টাকারও বেশি আয় করে। শক্তিশালী গল্প, শক্তিশালী অভিনয় এবং মহিমান্বিত পরিচালনার কারণে ছবিটি দর্শক ও সমালোচক উভয়ের কাছেই প্রিয় হয়ে ওঠে।

ছবির গল্পে আবেগের সংঘাত স্পষ্টভাবে দেখা গেছে

‘বাজিরাও মাস্তানি’-তে বাজিরাওয়ের জীবনের সেই সময়কাল দেখানো হয়েছে যখন তিনি বিবাহিত থাকা সত্ত্বেও মাস্তানির প্রেমে পড়েন। গল্পের একটি দৃশ্য অত্যন্ত প্রভাবশালী যেখানে কাশীবাঈ নিজের চোখের সামনে বাজিরাও এবং মাস্তানিকে দেখে ফেলেন। সেই মুহূর্তের যন্ত্রণা এবং আবেগের ঝড় পর্দায় পূর্ণ তীব্রতার সাথে ফুটে ওঠে, যা দর্শকদের গভীরভাবে ভাবিয়ে তোলে।

ছবিতে প্রেম, সম্মান, ত্যাগ এবং সংগ্রামের বিভিন্ন মাত্রা দেখানো হয়েছে। ভানসালীর জমকালো সেট, শক্তিশালী সঙ্গীত এবং তারকা অভিনেতাদের অসাধারণ অভিনয় এটিকে ঐতিহাসিক নাটকের শ্রেণিতে একটি বিশেষ স্থান দিয়েছে। কাশীবাঈয়ের চরিত্রে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার এবং মাস্তানির চরিত্রে দীপিকা পাড়ুকোনের অভিনয় অত্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।

বক্স অফিসে দুর্দান্ত আয়

প্রায় 145 কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত এই ছবিটি ভারতে প্রায় 256 কোটি টাকা গ্রস আয় করেছে। বিশ্বব্যাপী এর সংগ্রহ 357 কোটি ছাড়িয়ে গেছে। ছবিটি বিদেশেও 100 কোটির বেশি আয় করেছে, যা এটিকে সেই সময়ের সবচেয়ে সফল ঐতিহাসিক চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছে।

‘বাজিরাও মাস্তানি’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। ছবিটি 7টি জাতীয় পুরস্কার জিতেছে এবং ফিল্মফেয়ারে 14টি মনোনয়নের মধ্যে 9টি পুরস্কার লাভ করেছে। এর মহিমা, সঙ্গীত এবং পরিচালনার কারণে ছবিটি আজও আলোচনায় থাকে।

পুরস্কার এবং সৃজনশীল মহিমার সম্মান

এই ছবিটি ইতিহাসকে চলচ্চিত্রের ভাষায় এতটাই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে যে এটি একটি আইকনিক মর্যাদা পেয়েছে। রণবীর সিং বাজিরাওয়ের উদ্দীপনা, দীপিকা মাস্তানির দৃঢ়তা এবং প্রিয়াঙ্কা কাশীবাঈয়ের ব্যথা অত্যন্ত বাস্তবতার সাথে ফুটিয়ে তুলেছেন। এর সেট ডিজাইন, পোশাক, চিত্রগ্রহণ এবং ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর আন্তর্জাতিক পর্যায়েও প্রশংসিত হয়েছে।

এর সাফল্য প্রমাণ করেছে যে শক্তিশালী আবেগ এবং দুর্দান্ত উপস্থাপনা যেকোনো গল্পকে স্মরণীয় করে তুলতে পারে। ‘বাজিরাও মাস্তানি’ ভারতীয় সিনেমায় জমকালো ঐতিহাসিক রোম্যান্সের একটি চমৎকার উদাহরণ হয়ে উঠেছে।

Leave a comment