জাতীয় সড়কে প্রথম হানা, উদ্ধার ৬০০ বোতল নিষিদ্ধ ওষুধ
শুক্রবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের পরাণপুর এলাকায় জাতীয় সড়কে একটি পিক-আপ ভ্যানকে আটক করে পুলিশ। ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে চমকে ওঠেন আধিকারিকরা—ভ্যান থেকে উদ্ধার হয় ৬০০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করা হয় গাড়ির চালক মিনারুল মোল্লাকে।
বালুরঘাটের পরিবহণ গোডাউনে দ্বিতীয় অভিযান, মিলল আরও ২৪০০ বোতল
গাড়ি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই মেলে এক চাঞ্চল্যকর সূত্র—বালুরঘাটে এক পরিবহণ সংস্থার গোডাউনে মজুত করা রয়েছে আরও প্রচুর পরিমাণে সিরাপ। তড়িঘড়ি সেখানে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় ২৪০০ বোতল কাফ সিরাপ। সব মিলিয়ে বাজেয়াপ্ত হয় ৩০০০ বোতল, আনুমানিক বাজারমূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকা।
টার্গেট বাংলাদেশ! পাচারের ছক আঁকা হচ্ছিল সীমান্তের কাছেই
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, এই নিষিদ্ধ ওষুধ বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে জড়ো করা হচ্ছিল। বালুরঘাট সীমান্ত এলাকা হওয়ায় এখানে পাচারকারীদের কার্যকলাপ বাড়ছে বলেই মনে করছে তদন্তকারী সংস্থা। কলকাতা থেকে পাঠানো এই চালান আদতে কার বা কোন ব্যবসায়ীর, তা এখন পুলিশের নজরে।
কিছুই জানতাম না, দাবি ধৃত চালকের
আটক মিনারুল পুলিশকে জানিয়েছে, তিনি নাকি গাড়িতে কী ছিল জানতেন না। তাঁর বক্তব্য, মালিক বলেছিল বালুরঘাট থেকে কুমারগঞ্জে গাড়ি নিয়ে যেতে। ৫০০ টাকা পেতাম। বাকিটা আমি জানি না। যদিও তদন্তকারীরা মিনারুলের বক্তব্যকে পুরোপুরি বিশ্বাস করছেন না।
প্রশাসনের বক্তব্য: পাচারের স্পষ্ট প্রমাণ মিলেছে
দক্ষিণ দিনাজপুরের ডিএসপি বিক্রম প্রসাদ জানান, উদ্ধারকৃত কাফ সিরাপের বাজারমূল্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা। ঘটনাস্থলের প্রাথমিক বিশ্লেষণে মনে হচ্ছে, এটি এক আন্তর্জাতিক পাচারচক্রের অংশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সীমান্তবর্তী এলাকায় সতর্কতা বাড়ানো হয়েছে।
একই এলাকা থেকে একদিন আগেই উদ্ধার ৩১৯০ বোতল!
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারও একই থানা এলাকার অন্য ঘটনায় ডাক্তারের স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি থেকে ৩১৯০ বোতল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। ফলে পরপর এই ধরনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসায় বালুরঘাটে মাদক পাচারচক্রের সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।