পাঞ্জাবের খোদুর সাহেব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অমৃতপাল সিং আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হতে চলা উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে আসামের ডিব্রুগড় জেল থেকে ভোট দেবেন। নির্বাচন কমিশন এর জন্য তাকে পোস্টাল ব্যালট (ডাকের মাধ্যমে ভোট) জারির নির্দেশ দিয়েছে।
Vice President Election: ভারতের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন ২০২৫-এর আগে একটি অভিনব ঘটনা সামনে এসেছে। পাঞ্জাবের খোদুর সাহেব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অমৃতপাল সিং, যিনি বর্তমানে আসামের ডিব্রুগড় জেলে জাতীয় সুরক্ষা আইন (NSA)-এর অধীনে বন্দী রয়েছেন, আগামী ৯ সেপ্টেম্বর হতে চলা নির্বাচনে ভোট দেবেন।
নির্বাচন কমিশন তাকে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তটি গুরুত্বপূর্ণ এই কারণে যে, বন্দী অবস্থায় থাকা সত্ত্বেও একজন সাংসদ তার সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ
পাঞ্জাবের মুখ্য নির্বাচন কর্মকর্তা (CEO) কার্যালয় একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে যে, নির্বাচন কমিশন রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বিধি, ১৯৭৪-এর ২৬ নম্বর বিধি উদ্ধৃত করে অমৃতপাল সিংকে পোস্টাল ব্যালট জারির আদেশ দিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিরোধমূলক হেফাজতে (Preventive Detention) থাকা সাংসদদের ভোটদানের অধিকার সংরক্ষিত থাকে।
তবে, পোস্টাল ব্যালট শুধুমাত্র ভোটদানের দিনই জারি করা যেতে পারে এবং এর প্রক্রিয়া কঠোরভাবে অনুসরণ করা হবে। নির্বাচন কমিশন স্পষ্ট করেছে যে, অমৃতপাল সিংয়ের ভোট অন্য সাংসদদের মতোই সম্পূর্ণ বৈধ হবে।
পোস্টাল ব্যালটে কিভাবে হবে ভোটদান?
নির্ধারিত প্রক্রিয়া অনুসারে, ভোটদানের দিন অমৃতপাল সিংকে জেল চত্বরেই পোস্টাল ব্যালট সরবরাহ করা হবে। তিনি সেটি পূরণ করে সিল করা খামে ভরবেন। এই খামটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছানো আবশ্যক হবে। নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং আসাম সরকারের মুখ্য সচিবকে নির্দেশ দিয়েছে যাতে এই ব্যবস্থাটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা হয়। এছাড়াও, এটি নিশ্চিত করা হয়েছে যে ব্যালটটি আকাশপথে (Air Transport) ডিব্রুগড় থেকে দিল্লিতে আনা হবে এবং ৯ সেপ্টেম্বরের বিকেল ৬টার আগে রিটার্নিং অফিসারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপরই গণনা শুরু করা হবে।
অমৃতপাল সিং বর্তমানে ডিব্রুগড় কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে জাতীয় সুরক্ষা আইন, ১৯৮০-এর অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সাধারণ পরিস্থিতিতে জেলে বন্দী কোনও ব্যক্তির ভোটদানের অধিকার থাকে না, কিন্তু সাংসদ হওয়ার কারণে তাকে বিশেষ বিধানের সুবিধা দেওয়া হয়েছে।