বাঙালির পাতে ইলিশ মানেই উৎসব। পুজোর আগে বাংলাদেশ থেকে ইলিশ আসার খবর পাওয়া মাত্রই খুশির হাওয়া রাজ্যের ক্রেতা ও মাছপ্রেমীদের মধ্যে। যদিও ব্যবসায়ীদের পূর্বাভাস, এবার পদ্মার ইলিশের দাম সাধারণের নাগালের তুলনায় কিছুটা বেশি হবে।

শনিবার ঢুকছে বাংলাদেশি ইলিশ
ফিশ ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশ সরকার রপ্তানির অনুমতি দেওয়ায় শনিবার থেকেই ইলিশ আসতে শুরু করবে। আশা করা হচ্ছে রবিবার থেকেই কলকাতা ও আশপাশের বাজারে ইলিশ পাওয়া যাবে।
ঐতিহ্যের শুরু শেখ হাসিনার আমলে
২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্গাপুজোর আগে ভারতকে ইলিশ উপহার পাঠানোর প্রথা চালু করেছিলেন। তখন থেকেই প্রতিবছর গড়ে ২০০০–২২০০ টন ইলিশ পাঠায় বাংলাদেশ। তবে রাজনৈতিক টানাপোড়েনের কারণে ২০২৩ সালে এই রপ্তানি বাধাপ্রাপ্ত হয়। গত বছর ২৪২০ টনের অনুমতি মেললেও মাত্র ৫৭৭ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে পৌঁছেছিল।
রাজ্যে জোগানের সংকট, তাই পদ্মার ইলিশে ভরসা
এবার বর্ষার দুর্যোগে কাকদ্বীপ, দিঘা ও শঙ্করপুরের মৎস্যজীবীরা গভীর সমুদ্রে শিকারে বেরোতে পারেননি। ফলে রাজ্যে ইলিশের জোগান কমেছে। সেই ঘাটতি মেটাতে গুজরাটের ভারুচ থেকে মাছ আনতে হয়েছে। বাংলাদেশি ইলিশ ঢুকলে বাজারে সরবরাহ কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ীরা।

পদ্মা–মেঘনার ইলিশের আলাদা কদর
বাঙালিদের কাছে পদ্মা ও মেঘনার ইলিশের স্বাদ অতুলনীয়। দেশি ইলিশের তুলনায় এর স্বাদ ও তেল বেশি বলেই বাঙালি সারা বছর এ সময়টার জন্য অপেক্ষা করে। ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, চাহিদা বেশি হওয়ায় এ বছর পদ্মার ইলিশের দাম খানিকটা বাড়তে পারে।
দাম চড়া হলেও খুশির হাওয়া
রাজ্যের বাজারে এখন থেকেই ইলিশপ্রেমীদের উচ্ছ্বাস স্পষ্ট। অনেকেই বলছেন, “দাম কিছুটা বেশি হলেও পদ্মার ইলিশ না হলে পুজো অসম্পূর্ণ।’’ ফলে ইলিশ এলে বিক্রিবাট্টা জমে উঠবে বলেই আশা করছে মৎস্য ব্যবসায়ী মহল।বাংলাদেশি ইলিশ আসার খবর ইতিমধ্যেই বাঙালির উৎসবের আনন্দে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। দাম চড়া হলেও পদ্মা–মেঘনার ইলিশের স্বাদ পাতে না থাকলে বাঙালির পুজো সম্পূর্ণ হয় না। ফলে রবিবার থেকেই শহরের বাজারে ভিড় জমবে ইলিশের খোঁজে, এটাই এখন নিশ্চিত।

পদ্মা–মেঘনার ইলিশের স্বাদে মুগ্ধ বাঙালিদের জন্য সুখবর। সব ঠিকঠাক থাকলে শনিবার পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে রাজ্যে ঢুকছে বাংলাদেশি ইলিশ, রবিবার থেকেই মিলবে কলকাতার বাজারে। দাম কিছুটা চড়া হলেও পুজোর আগে খুশি আমজনতা।
                                                                        
                                                                            
                                                











