Election Fraud Case: ফের চাঞ্চল্যকর ঘটনা! সন্দেহভাজন বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম উঠে এল ভারতের ভোটার তালিকায়। ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (FRRO) একাধিক নামসহ চিঠি পাঠিয়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। আরও অবাক করা তথ্য—এই বাংলাদেশিদের মধ্যে একজন আবার সম্প্রতি হওয়া স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষাতেও বসেছেন। ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য প্রশাসনে।
FRRO–র চিঠিতে তোলপাড় কমিশন
সূত্রের খবর, FRRO-র তরফে কমিশনকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সন্দেহভাজন ওই বাংলাদেশিদের নাম ভোটার তালিকা থেকে অবিলম্বে বাদ দিতে হবে। অন্তত ১২ জন নাগরিকের নাম শনাক্ত করা হয়েছে, যাঁরা ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে ভোটার কার্ড তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ।
চমকপ্রদ তথ্য: একজন SSC পরীক্ষার্থীও!
সবচেয়ে আলোড়ন ফেলেছে এক বাংলাদেশি নাগরিকের নাম, যিনি এ বছরই স্কুল সার্ভিস কমিশনের নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। FRRO-র দাবি, ওই ব্যক্তি বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভারতে এসে নদিয়ার তেহট্টে আত্মীয়ের বাড়িতে থাকতেন এবং ভারতীয় ভোটার কার্ড তৈরি করে পরীক্ষায় বসেন।
কীভাবে ঘটল এই ভুয়ো পরিচয় তৈরি
FRRO-র রিপোর্ট অনুযায়ী, মুর্শিদাবাদের জলঙ্গির এক ব্যক্তির সাহায্যে স্বরূপ সরকার নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় ভোটার কার্ড সংগ্রহ করেন। তিনি কৃষ্ণনগর গভর্নমেন্ট কলেজ থেকে স্নাতক এবং রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। এই ঘটনায় FRRO অবিলম্বে তাঁর ভোটার কার্ড বাতিলের সুপারিশ করেছে।
আরও এক ডজন বাংলাদেশির নাম তালিকায়
এই এক ব্যক্তিই নন, FRRO-র নজরে এসেছে আরও এক ডজন বাংলাদেশির নাম, যাঁদের ভারতের ভোটার কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর, নদিয়া ও উত্তর ২৪ পরগনায় এঁদের বাসস্থান বলে জানা গিয়েছে। কমিশনের হাতে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও ভারতীয় ভোটার কার্ডের বিস্তারিত তথ্যও পৌঁছে গিয়েছে।
কী পদক্ষেপ নেবে নির্বাচন কমিশন
কমিশন সূত্রের খবর, এই সব বাংলাদেশি নাগরিকদের নাম অবিলম্বে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হবে। তবে যিনি SSC পরীক্ষায় বসেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে কী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট বার্তা মেলেনি। নির্বাচনী ব্যবস্থায় এই ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে বড় আইনি জটিলতা তৈরি করতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
বাংলাদেশি নাগরিক হয়েও ভারতের ভোটার তালিকায় নাম ও SSC পরীক্ষায় অংশগ্রহণ! ফরেনার রিজিওনাল রেজিস্ট্রেশন অফিস (FRRO) চিঠি পাঠিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছে অন্তত ১২ জন বাংলাদেশির নাম মুছে ফেলতে হবে ভোটার লিস্ট থেকে।