রাজ্য বিজেপির সভাপতিপদে বড় রদবদলের আভাস! সুকান্তের উত্তরসূরি কে? উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

রাজ্য বিজেপির সভাপতিপদে বড় রদবদলের আভাস! সুকান্তের উত্তরসূরি কে? উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি

 বদলের হাওয়া গেরুয়া শিবিরে: কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে নতুন পদক্ষেপ

২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে বঙ্গ বিজেপির অন্দরে বড়সড় রদবদলের ইঙ্গিত। রাজ্য সভাপতি পদে সুকান্ত মজুমদারের ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একপ্রকার সিগনাল দিয়ে দিয়েছে—রাজ্য বিজেপিতে নতুন সভাপতি নির্বাচনের কাজ শুরু হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রবিশঙ্কর প্রসাদকে নিয়োগ করেছেন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে। তিনি রাজ্য সভাপতি এবং জাতীয় কাউন্সিল মেম্বার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকবেন।

 সুকান্তের ভবিষ্যৎ কি ঝুলে রইল? গেরুয়া শিবিরে বাড়ছে উদ্বেগ

বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগেই পরিষ্কার করে জানিয়েছিলেন—"নতুন সভাপতি ঠিক করা সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এখতিয়ার।" তবে কেন্দ্রীয় স্তরে একাধিক বৈঠকে তার নাম নিয়ে আলোচনা হলেও এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে রাজনৈতিক মহলের দাবি, রবিশঙ্কর প্রসাদের এই নিয়োগ স্পষ্ট বার্তা—দলের অন্দরে বড় পরিবর্তন আসন্ন।

 গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আর অন্তর্দ্বন্দ্ব: সভাপতি পরিবর্তন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বঙ্গ বিজেপি

গত কয়েক মাস ধরেই রাজ্য বিজেপির জেলা নেতৃত্বে রদবদল ঘটেছে। আর এই জেলা পরিবর্তন ঘিরেই দলীয় অন্দরে শুরু হয়েছে প্রবল ক্ষোভ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এই অবস্থা চলতে থাকলে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির সংগঠনে আরও বেশি ফাটল ধরতে পারে। তাই কেন্দ্রের তরফে সভাপতি বদলের প্রক্রিয়া শুরু হলেও, রাজ্যের অনেক নেতাই এখনই পরিবর্তনের বিরুদ্ধে। তাঁদের মতে, নতুন নেতৃত্ব আনলে এই মুহূর্তে দল আরও বিপাকে পড়তে পারে।

 নতুন নাম কারা কারা? শমীক, জ্যোতির্ময় না অগ্নিমিত্রা?

তবে নতুন সভাপতি হিসেবে কাদের নাম উঠে আসছে? গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, সম্ভাব্য নামের তালিকায় রয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য, জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো এবং অগ্নিমিত্রা পাল। এই তিন নেতার রাজনৈতিক দক্ষতা ও সাংগঠনিক অভিজ্ঞতা নিয়ে ইতিমধ্যেই আলোচনা শুরু হয়েছে বিজেপির বিভিন্ন মহলে। যদিও এখনও পর্যন্ত কারও নামেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

 ভোটের আগে বদল নাকি ভোটের পর? বিভক্ত মত বিজেপির অন্দরে

বঙ্গ বিজেপির একাংশ মনে করছে, ভোটের আগে সভাপতি বদল করলে তা নেতিবাচক বার্তা দিতে পারে দলীয় কর্মীদের কাছে। অন্যদিকে, কিছু নেতৃত্বের মতে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে কার্যকর লড়াইয়ের জন্য এখনই নতুন নেতৃত্বের প্রয়োজন। বিশেষ করে বুথ স্তর থেকে জেলা পর্যন্ত সংগঠন ঢেলে সাজানোর প্রয়োজনীয়তা এখন আরও বেশি।

 রবিশঙ্করের নতুন ভূমিকা: এবার কি দ্রুত হবে ঘোষণা?

রবিশঙ্কর প্রসাদের ওপর এই গুরুদায়িত্ব অর্পণ করার পর রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা—আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করতে পারে। দিল্লি সূত্রের খবর, বঙ্গ বিজেপির অর্গানাইজেশনাল দুর্বলতা কাটিয়ে শক্তি ফেরাতে এই সিদ্ধান্তে কেন্দ্র একপ্রকার মরিয়া।

২০২৬ লক্ষ্য: বিজেপির রণকৌশল ঘিরে নতুন অধ্যায়ের সূচনা?

সব মিলিয়ে বিজেপির অন্দরে এখন অপেক্ষা—কে হবেন সুকান্ত মজুমদারের উত্তরসূরি? নতুন নেতৃত্ব কি পারবে সংগঠনের জোয়ার ফেরাতে? নাকি চলতে থাকা অন্তর্দ্বন্দ্ব আরও জটিল করে তুলবে গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি?

Leave a comment