রাজস্থানের ভরতপুরে বজরং দলের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ একটি ধর্মান্তর কেন্দ্র ধরেছে, যেখানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করার চেষ্টা চলছিল। ঘটনাস্থল থেকে ধর্মীয় বই এবং প্রতীকও উদ্ধার করা হয়েছে।
ভরতপুর: রাজস্থানে ধর্ম পরিবর্তন বিরোধী আইন থাকা সত্ত্বেও ভরতপুরে একটি ধর্মান্তর কেন্দ্র ধরা পড়েছে। বজরং দলের তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ এই কেন্দ্রে অভিযান চালায়। জানা যাচ্ছে যে, এই কেন্দ্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের খ্রিস্টান ধর্মে রূপান্তরিত করার চেষ্টা করা হচ্ছিল। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ধর্মীয় গ্রন্থ ও প্রতীক চিহ্ন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।
বজরং দলের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান
ভরতপুরের সেভার থানা এলাকার ধর্মান্তর কেন্দ্রে বজরং দলের খবর পাওয়ার পর পুলিশ অভিযান চালায়। কেন্দ্রে গিয়ে দলটি দেখতে পায় যে প্রায় ৫০ জন লোক, যাদের মধ্যে পুরুষ, মহিলা এবং নাবালিকা মেয়েও ছিল, খ্রিস্টান ধর্মের প্রার্থনা সভায় যোগ দিয়েছিল।
বজরং দলের সদস্যদের বক্তব্য, এই কেন্দ্রটি নিয়মিতভাবে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেদের খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত করার কার্যক্রমে জড়িত ছিল। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দলটি পুলিশকে সতর্ক করে এবং ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযান নিশ্চিত করে।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত সামগ্রী
সেভার থানার আধিকারিক সতীশ চাঁদ শর্মা জানিয়েছেন যে অভিযানের সময় কেন্দ্র থেকে খ্রিস্টান ধর্মের বেশ কয়েকটি বই এবং ধর্মীয় প্রতীক উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, সব মানুষের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে এবং তদন্ত চলছে।
তিনি এও স্পষ্ট করেছেন যে এই মুহূর্তে কাউকে আটক করা হয়নি, তবে তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আধিকারিক বলেছেন যে তথ্য পাওয়ার পর পুলিশ দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সক্ষম হয়েছিল।
ধর্মান্তর কেন্দ্রে স্থানীয়দের প্রতিরোধ
ধর্মান্তর কেন্দ্রে মহিলারা পুলিশের আগমনের প্রতিবাদ করে বলেন যে মন্দিরে পাপ হচ্ছে কিন্তু সেখানে পুলিশ যায় না, অথচ এখানে আমরা শান্তি ও প্রার্থনার জন্য একত্রিত হয়েছিলাম। এই বিবৃতি স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের উপর মামলার নিরপেক্ষ তদন্তের জন্য চাপ সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয়দের বক্তব্য, ধর্মান্তর বিরোধী আইন থাকা সত্ত্বেও এমন কেন্দ্র খোলা উদ্বেগজনক। তারা সরকার ও পুলিশের কাছে এই ধরনের কার্যকলাপের উপর নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে।
পুলিশের তদন্ত চলছে
রাজস্থান সরকার রাজ্যে ধর্মান্তর বিরোধী আইন কার্যকর করেছে, কিন্তু তা সত্ত্বেও কিছু স্থানে ধর্মান্তরের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আইনের পূর্ণ শক্তি প্রয়োগ করে নজরদারি এবং কঠোর পদক্ষেপই এই ধরনের কার্যকলাপ বন্ধ করতে পারে।
পুলিশ ও বজরং দলের যৌথ অভিযানকে এই দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে। আধিকারিকরা বলেছেন যে মামলার তদন্ত শেষ হওয়ার পর প্রয়োজনীয় আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।