মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুইটনিক বলেছেন যে ভারতকে মার্কিন ব্যবসার জন্য "উপযোগী" করতে হবে। এতে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ভারত স্পষ্ট করেছে যে তার জ্বালানি এবং বাণিজ্য নীতিগুলি কেবল জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে।
ট্রাম্প শুল্ক: মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মাসে ভারত থেকে আমদানি করা পণ্যের উপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। এই একতরফা পদক্ষেপের পর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে বাণিজ্যিক উত্তেজনা বেড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত বিশেষভাবে ভারতের উপর কেন্দ্রীভূত ছিল এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের উপর সর্বোচ্চ শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল। এই শুল্কে রুশ তেল কেনার উপর আরোপিত ২৫ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কও অন্তর্ভুক্ত।
হাওয়ার্ড লুইটনিকের বিতর্কিত মন্তব্য
মার্কিন বাণিজ্য সচিব হাওয়ার্ড লুইটনিক সম্প্রতি একটি অযৌক্তিক মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন যে আমেরিকাকে ভারত, ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড এবং তাইওয়ানের মতো দেশগুলিকে "উপযোগী" করতে হবে। লুইটনিক আরও বলেছেন যে এই দেশগুলিকে আমেরিকার জন্য তাদের বাজার খুলতে হবে এবং মার্কিন ভোক্তাদের কাছে কিছু বিক্রি করার জন্য আমেরিকার রাষ্ট্রপতির সাথে সহযোগিতা করতে হবে।
ভারত ও ব্রাজিলকে উপযোগী করার কী প্রয়োজন?
লুইটনিকের মন্তব্য অনুযায়ী, আমেরিকার অনেক বাণিজ্যিক সমস্যা এখনও এই দেশগুলির সাথে সমাধান হয়নি। তিনি এই পরামর্শ দিয়েছেন যে এই দেশগুলিকে মার্কিন বাণিজ্য নীতির সাথে নিজেদের মানিয়ে নিতে হবে। তার এই মন্তব্যকে অনেক বিশেষজ্ঞ অযৌক্তিক এবং অসঙ্গত বলেছেন কারণ প্রতিটি দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক ও জাতীয় অগ্রাধিকার রয়েছে।
ভারতের প্রতিক্রিয়া
ভারত স্পষ্ট করেছে যে তার জ্বালানি ক্রয় এবং বাজার পরিচালনা জাতীয় স্বার্থ এবং বাজারের গতিশীলতার উপর নির্ভরশীল। ভারত আমেরিকার এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে যে সে রাশিয়া থেকে তেল কিনে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়াকে সাহায্য করছে। ভারতীয় কর্মকর্তারা বলছেন যে ভারতের নীতিগুলি সম্পূর্ণভাবে দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থে রয়েছে এবং এটি কোনো একটি দেশের চাপে পরিবর্তন করা যাবে না।