বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের পথে, এলজেপি (রামবিলাস)-র প্রভাবশালী নেতারা যোগদান

বিহার নির্বাচনে কংগ্রেসের পথে, এলজেপি (রামবিলাস)-র প্রভাবশালী নেতারা যোগদান

বিহারের নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক চালগুলি দ্রুত সাজানো হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে, লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস)-কে একটি বড় ধাক্কা লেগেছে, যখন প্রাক্তন বিধায়ক এবং দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক ড. অচ্যুতানন্দ, সাধারণ সম্পাদক নवल কিশোর সিং এবং অমরেন্দ্র কুমার চৌধুরী কংগ্রেস দলে যোগ দিয়েছেন। এই নেতারা সোমবার তাদের শত শত সমর্থক সহ কংগ্রেসে যোগ দেন, যা রাজ্যের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি করছে।

কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রভাবশালী নেতারা

পাটনার সদাখত আশ্রমের কংগ্রেস প্রদেশ সদর দফতরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই নেতারা কংগ্রেসের সদস্যপদ গ্রহণ করেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজেশ রাম তাদের দলের সদস্যপদ দেন এবং এই মুহূর্তটিকে "বিহারের পরিবর্তনের দিকে একটি দৃঢ় পদক্ষেপ" হিসাবে বর্ণনা করেন। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে এটি কেবল সদস্যপদ নয়, বরং জনগণের মধ্যে আস্থার প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিত, যা আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দেখা যাবে।

কংগ্রেস এই ঘটনাটিকে একটি রাজনৈতিক সুবিধা হিসেবে তুলে ধরেছে, যেখানে এলজেপি (রামবিলাস) এবং এনডিএ শিবিরের জন্য এটি একটি ধাক্কার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ঘটনাগুলি আগামী দিনগুলোতে মহাজোটকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।

মঞ্চে কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় নেতারা

অনুষ্ঠানটির বিশেষত্ব ছিল যে মঞ্চে কংগ্রেসের অনেক শীর্ষস্থানীয় নেতা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে ছিলেন প্রাক্তন বিধায়ক ভাবনা ঝা, অজয় ​​চৌধুরী, স্নেহাশিষ বর্ধন পাণ্ডে, সত্যেন্দ্র কুমার সিং, রোশন কুমার সিং এবং রবি গোল্ডেন। এই নেতাদের উপস্থিতি কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নতুন মুখদের মনোবল বাড়িয়েছে এবং দলকে এই বার্তা দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে যে তারা আসন্ন নির্বাচনে পূর্ণ শক্তি নিয়ে নামতে চলেছে।

রাজনৈতিক সমীকরণ পরিবর্তনের সূচনা

এলজেপির এই বড় নেতাদের কংগ্রেসে যোগদান শুধু এলজেপির জন্য নয়, পুরো এনডিএ জোটের জন্যও উদ্বেগের বিষয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি কেবল শুরু এবং নির্বাচনের সময় যত এগিয়ে আসবে, আরও অনেক মুখ দল পরিবর্তন করতে পারে। কংগ্রেসের কৌশল স্পষ্ট – তারা মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব এবং আইন-শৃঙ্খলার মতো জনস্বার্থের বিষয়গুলি নিয়ে জনগণের কাছে যাবে, যেখানে এনডিএ উন্নয়নমূলক কাজের মাধ্যমে জন সমর্থন অর্জনের চেষ্টা করছে।

এখন এটা দেখা আকর্ষণীয় হবে যে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া এই নতুন মুখগুলো দলটিকে কতটা রাজনৈতিক সুবিধা এনে দিতে পারে এবং এই পদক্ষেপটি কি বিহারের রাজনীতিতে সত্যিই বড় পরিবর্তন আনবে।

Leave a comment