বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে সনাতনী রাজনীতির শঙ্খনাদ করা হয়েছে। জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জি সমস্ত ২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে গো-ভক্ত প্রার্থীদের নির্বাচনে নামানোর ঘোষণা করেছেন।
পাটনা: জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বিহারে সনাতনী রাজনীতির শঙ্খনাদ করেছেন। তিনি ঘোষণা করেছেন যে বিহারের সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁর সমর্থক প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন এবং এঁরা সবাই গো-ভক্ত হবেন। স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী মহারাজ বলেছেন যে সনাতন ধর্মের রক্ষা তখনই সম্ভব যখন আমরা গোমাতাকে সংরক্ষণ করব।
তাঁর মতে, গো-রক্ষা কেবল আস্থার বিষয় নয়, বরং এটি আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির ভিত্তিপ্রস্তরও বটে। তিনি সমস্ত মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কেবল সেই প্রার্থীদেরই ভোট দিন, যারা গো-রক্ষার প্রতি স্পষ্ট এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। তাঁর এই বার্তা ধর্ম, সংস্কৃতি এবং সমাজের সংরক্ষণের উপর কেন্দ্র করে গঠিত।
শঙ্করাচার্যের বার্তা: গো-রক্ষাই সমাজ ও সংস্কৃতির ভিত্তি
শঙ্করাচার্য সভাকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, "সনাতন ধর্মের রক্ষা তখনই সম্ভব যখন আমরা গোমাতাকে সংরক্ষণ করব। অতএব আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে কেবল সেই প্রার্থীদেরই ভোট দিন যারা গো-রক্ষার প্রতি স্পষ্ট এবং দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ।" তিনি এও জানিয়েছেন যে তিনি সমস্ত জাতীয় দলের দিল্লি কার্যালয়ে গিয়ে অনুরোধ করেছেন যে গোমাতাকে রাষ্ট্র মাতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে তাদের অবস্থান লোকসভায় পেশ করুক।
তবে, কোনো রাজনৈতিক দলই এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট উত্তর দেয়নি। এই কারণে তিনি বাধ্য হয়ে বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গো-ভক্ত প্রার্থী নামানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
২৪৩টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী নামানোর পরিকল্পনা
শঙ্করাচার্য বলেছেন যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী নামানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হচ্ছে। মনোনয়নের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য জানানো হবে যে কোন কোন প্রার্থী তাঁর পক্ষ থেকে নির্বাচন লড়ছেন। তিনি আরও বলেছেন, আমাদের উদ্দেশ্য কেবল নির্বাচন জেতা নয়, বরং সনাতন ধর্ম এবং ভারতীয় সংস্কৃতির মূল্যবোধের রক্ষা করা। গো-রক্ষা আমাদের আস্থা এবং সমাজের ঐতিহ্য।
শঙ্করাচার্যের এই পদক্ষেপের ফলে বিহারে মহাজোট এবং এনডিএর জন্য একটি নতুন নির্বাচনী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ২৪৩ জন গো-ভক্ত প্রার্থী নামানোর ফলে ঐতিহ্যবাহী ভোট ব্যাংক এবং ধর্মনিরপেক্ষ ভোটগুলির উপর প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এই নির্বাচনী আন্দোলনের মূল বার্তা হলো গো-রক্ষা এবং সনাতন ধর্মের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা। এর মাধ্যমে স্বামী অবিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী জনসাধারণের মধ্যে ধর্ম ও সংস্কৃতির বিষয়গুলিকে নির্বাচনী এজেন্ডা করার চেষ্টা করছেন।