ভোট চুরির অভিযোগ: রাহুল গান্ধীর সমর্থনে AAP, বিস্ফোরক দাবি সৌরভ ভরদ্বাজের

ভোট চুরির অভিযোগ: রাহুল গান্ধীর সমর্থনে AAP, বিস্ফোরক দাবি সৌরভ ভরদ্বাজের

দেশে এই মুহূর্তে ভোট চুরির বিষয়টি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। বিরোধী দলগুলি এই গুরুতর অভিযোগ নিয়ে শাসক বিজেপিকে ক্রমাগত প্রশ্ন করছে। এখন এই ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাথে আম আদমি পার্টি (AAP)-ও প্রকাশ্যে এসেছে।

নয়াদিল্লি: দেশে ভোট চুরির বিষয়টি এখন রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। বিরোধী দলগুলি ক্রমাগত শাসক বিজেপিকে ভোট চুরি এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ায় কারচুপির অভিযোগ আনছে। এই বিষয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। এখন আম আদমি পার্টি (AAP)-ও এই বিতর্কে প্রকাশ্যে এসেছে এবং দিল্লিতে ভোট চুরি ও নির্বাচন কমিশনের কথিত সন্দেহজনক ভূমিকা প্রকাশ করার দাবি করেছে।

সৌরভ ভরদ্বাজের বড় দাবি

AAP-এর দিল্লি সভাপতি সৌরভ ভরদ্বাজ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ টুইট করে আজ দুপুর ১টায় ভোট চুরি সংক্রান্ত একটি বড় প্রকাশনার ঘোষণা করেছেন। ভরদ্বাজ লিখেছেন যে আজকের এই প্রকাশনায় তিনটি প্রধান বিষয় প্রমাণিত হবে: দিল্লিতে সুপরিকল্পিতভাবে ভোট চুরি করা হচ্ছিল। সমগ্র ঘটনায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের ভূমিকা সন্দেহজনক।

আজকের প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার গুপ্তার ভূমিকাও সন্দেহজনক। সৌরভ ভরদ্বাজের এই দাবি রাজনৈতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে। তার মতে, এই প্রকাশনা কেবল দিল্লিতে সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং জাতীয় স্তরে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা এবং গণতন্ত্রের সুরক্ষা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলবে।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগকে AAP-এর সমর্থন

গত ১৮ সেপ্টেম্বর ভরদ্বাজ রাহুল গান্ধীর অভিযোগ সমর্থন করেন। এএনআই-কে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি বলেন যে রাহুল গান্ধী যে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন, তা অত্যন্ত গুরুতর এবং এর জন্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় সরকারের জবাব দেওয়া উচিত। AAP নেতা বলেন যে এই বিষয়টি কেবল রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর নয়, বরং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের অধিকার রক্ষার সাথে সম্পর্কিত। তার বক্তব্য হলো, যদি ভোটদান পদ্ধতিতে কোনো কারচুপি হয়, তবে গণতন্ত্রের মূল নীতিগুলি বিপদের মুখে পড়তে পারে।

ভরদ্বাজ দাবি করেছেন যে কর্ণাটকের একটি আসনে ৬,০০০ ভোট সরানোর আবেদন জমা দেওয়া হয়েছিল। এছাড়াও, তিনি স্মরণ করিয়ে দেন যে ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে অরবিন্দ কেজরিওয়াল এই বিষয়টি উত্থাপন করেছিলেন যে দিল্লির নতুন দিল্লি বিধানসভা আসনে ১৫ দিনের মধ্যে ৬,০০০ ভোট সরিয়ে ফেলার এবং ১০,৫০০ নতুন ভোট যোগ করার আবেদন করা হয়েছিল।

রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য

AAP নেতা কংগ্রেসের উপরও প্রশ্ন তুলেছেন যে, যখন বিরোধী দলগুলি এই বিষয়টি আগে উত্থাপন করছিল, তখন কংগ্রেস কেন চুপ ছিল। ভরদ্বাজ বলেন যে রাহুল গান্ধী এখন আওয়াজ তুলছেন, কিন্তু এই লড়াই কেবল কংগ্রেসের স্বার্থের জন্য নয়, বরং সমগ্র গণতন্ত্র এবং বিরোধী দলের জন্য হওয়া উচিত। তার যুক্তি হলো যে, যদি বিরোধী দল সময়মতো পদক্ষেপ নিত, তবে দেশের গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে প্রশ্ন উঠত না। তিনি এও সতর্ক করেন যে, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করা হয়, তবে ভবিষ্যতেও জনগণের বিশ্বাস হুমকির মুখে থাকবে।

AAP-এর এই প্রকাশনা এবং রাহুল গান্ধীর অভিযোগ রাজনৈতিক মঞ্চে তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করছে। বিরোধী দলগুলি এই বিষয়টি নিয়ে শাসক বিজেপি-র উপর ক্রমাগত চাপ সৃষ্টি করছে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, এই বিষয়টি আসন্ন নির্বাচনের দৃষ্টিকোণ থেকেও গুরুত্বপূর্ণ এবং এর প্রভাব সুদূরপ্রসারী হতে পারে।

Leave a comment