বিহার: নেপাল হয়ে প্রবেশ করা জয়েশ জঙ্গিদের সন্ধানে হাই অ্যালার্ট

বিহার: নেপাল হয়ে প্রবেশ করা জয়েশ জঙ্গিদের সন্ধানে হাই অ্যালার্ট

বিহারের জয়শ-এ-মহম্মদের তিন পাকিস্তানি জঙ্গী ঢোকার খবর পেয়ে ২৮শে অগাস্ট পুলিশ সদর দফতর হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। এই জঙ্গিরা নেপালের মাধ্যমে প্রবেশ করেছে, যাদের ছবি এবং তথ্য জেলাগুলিতে পাঠানো হয়েছে।

পাটনা: বিহারের জয়শ-এ-মহম্মদের তিনজন জঙ্গি অনুপ্রবেশের খবর পাওয়ার পর রাজ্য পুলিশ সদর দফতর হাই অ্যালার্ট জারি করেছে। তথ্য অনুযায়ী, এই জঙ্গিরা নেপালের মাধ্যমে বিহারে প্রবেশ করেছে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলি দ্রুত সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

পুলিশ এই জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করেছে এবং সীমান্ত জেলার কর্মকর্তাদের সতর্ক করা হয়েছে। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।

নেপালের মাধ্যমে ভারতে প্রবেশ তিন পাকিস্তানি জঙ্গি 

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মতে, এই তিনজন জঙ্গিই পাকিস্তানের নাগরিক এবং সরাসরি জয়েশ-এ-মহম্মদ সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত।

  • প্রথম জঙ্গি হাসনাইন আলি, রাওয়ালপিন্ডির বাসিন্দা।
  • দ্বিতীয় আদিল হুসেন, উমরকোটের বাসিন্দা।
  • তৃতীয় মহম্মদ উসমান, বাহাওয়ালপুরের বাসিন্দা।

তথ্য অনুযায়ী, এই তিনজন আগস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কাঠমান্ডু পৌঁছেছিল এবং সেখান থেকে গত সপ্তাহে নেপালের মাধ্যমে বিহার সীমান্তে প্রবেশ করে। এখন পুলিশ তাদের প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখছে। গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুসারে, এই জঙ্গিরা বড় ধরনের হামলা বা সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরিকল্পনা করতে পারে।

বিহার নির্বাচনে নিরাপত্তার ঝুঁকি

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে এই ঘটনা নিরাপত্তার জন্য একটি গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সমস্ত জেলাকে সতর্ক করেছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে।

রেলওয়ে স্টেশন, বাসস্ট্যান্ড, জনবহুল এলাকা এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিরাপত্তা তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। একই সাথে সিসিটিভি নজরদারি ও মোবাইল চেকিং টিমগুলোকে সক্রিয় করা হয়েছে, যাতে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর রাখা যায়।

জঙ্গিদের পাসপোর্ট ও ছবি প্রকাশ

বিহার পুলিশ তিনজন জঙ্গির পাসপোর্ট ও ছবি রাজ্যের সব জেলার কর্মকর্তাদের সাথে শেয়ার করেছে। এই তথ্যের ভিত্তিতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের চিহ্নিতকরণ এবং নজরদারি জোরদার করা হয়েছে।

গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আশঙ্কা, এই জঙ্গিরা গণ হামলা, বিপজ্জনক কার্যকলাপ বা সন্ত্রাস ছড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তাই সীমান্ত জেলাগুলোতে এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে।

Leave a comment