IRCTC কেলেঙ্কারিতে লালু প্রসাদ যাদব ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, বিহার নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা

IRCTC কেলেঙ্কারিতে লালু প্রসাদ যাদব ও পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন, বিহার নির্বাচনের আগে বড় ধাক্কা
সর্বশেষ আপডেট: 2 ঘণ্টা আগে

বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের জন্য একটি বড় খবর সামনে এসেছে। আইআরসিटीसी কেলেঙ্কারি (IRCTC Scam) মামলায় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে।

নয়াদিল্লি: ২০২৫ সালের বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই রাষ্ট্রীয় জনতা দল (RJD)-এর সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদব এবং তাঁর পরিবারের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক ও আইনি ধাক্কা সামনে এসেছে। আইআরসিटीसी কেলেঙ্কারি (IRCTC Scam) মামলায় রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত লালু যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং ছেলে তেজস্বী যাদব সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছে। এটিকে বিহারের রাজনীতি এবং মহাজোটের নির্বাচনী রণনীতির উপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলার মতো একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আদালত অভিযোগ গঠনের পর লালু যাদবকে জিজ্ঞাসা করে যে তিনি অভিযোগগুলি স্বীকার করেন কিনা। এর উত্তরে লালু যাদব স্পষ্ট করে জানান যে তিনি অভিযোগগুলি স্বীকার করেন না। এই মামলায় আইআরসিटीसी কেলেঙ্কারি এবং পূর্বে আলোচিত "ল্যান্ড ফর জব" কেলেঙ্কারিকে আলাদা রাখা হয়েছে।

লালু পরিবার সহ মোট ১৬ জন অভিযুক্ত

এই মামলায় লালু যাদব ছাড়াও তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং ছেলে তেজস্বী যাদবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়াও মোট ১৬ জন এই কেলেঙ্কারির সাথে জড়িত। আদালতে শুনানির সময় তিনজনেই, লালু, রাবড়ি এবং তেজস্বী, নিজেদের বয়ান রেকর্ড করার জন্য উপস্থিত ছিলেন। সিবিআই এই কেলেঙ্কারিতে নতুন চার্জশিট জমা দিয়েছিল। শুনানির পর আদালত স্পষ্ট করে জানায় যে টেন্ডার প্রক্রিয়ায় লালু যাদবের হস্তক্ষেপ ছিল এবং এই কেলেঙ্কারিতে তাঁর ও তাঁর পরিবারের লাভ হয়েছিল।

আইআরসিटीसी কেলেঙ্কারির প্রেক্ষাপট

আইআরসিटीसी কেলেঙ্কারি সেই সময়ের, যখন লালু প্রসাদ যাদব ২০০৪ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত ভারতের রেলমন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় আইআরসিटीसी দুটি হোটেলের রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য টেন্ডার আহ্বান করেছিল। অভিযোগ রয়েছে যে টেন্ডারে কারচুপি করে লালু যাদব সুবোধ কুমার সিনহার কোম্পানি, সুজাতা হোটেল প্রাইভেট লিমিটেড-কে হোটেলের চুক্তি পাইয়ে দিয়েছিলেন।

এর বিনিময়ে, লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারকে পাটনায় অত্যন্ত কম দামে মূল্যবান জমি প্রদান করা হয়েছিল। এই কারণেই এই মামলাটিকে গুরুতর ও সংবেদনশীল হিসাবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

লালু পরিবারের রাজনৈতিক সংকট

২০২৫ সালের বিহার নির্বাচনের ঠিক আগে এই মামলা আরজেডি-কে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। নির্বাচনী কৌশলবিদদের মতে, এই ধরনের আইনি বিষয়গুলিকে বিরোধী দলগুলি নির্বাচনী ইস্যু হিসাবে প্রচার করতে পারে। এর ফলে মহাজোটের অবস্থান প্রভাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, লালু পরিবারের ভাবমূর্তি এবং তাঁদের সমর্থকদের মধ্যে আস্থা বজায় রাখা এই নির্বাচনে একটি চ্যালেঞ্জ হতে পারে। অন্যদিকে, দলের চেষ্টা থাকবে এই আইনি ধাক্কাকে নির্বাচনী কৌশলের উপর ন্যূনতম প্রভাব ফেলার জন্য নিয়ন্ত্রণ করা।

Leave a comment