বিহারে বাম দল ও কংগ্রেসের জোট বিজেপির বিরোধিতার জন্য একটি मजबুরি। ভোটার অধিকার যাত্রায় সিপিআই (এমএল) সক্রিয় ছিল, অন্যদিকে অন্যান্য বাম নেতাদের দূরত্ব বজায় ছিল।
Bihar Politics: বিহারের রাজনীতিতে বাম দল এবং কংগ্রেসের মধ্যে সম্পর্ক সর্বদা জটিল। কখনও বন্ধুত্ব, কখনও আবার শত্রুতা দেখা গেছে। বর্তমানে বাম দলগুলি मजबুতির কারণে কংগ্রেসকে সমর্থন করছে, তবে পুরোপুরি সহযোগিতা করছে না। তাদের এই জোট কেবল বিজেপি বিরোধিতা এবং নির্বাচনী কৌশলের জন্য।
ভোটার অধিকার যাত্রায় বাম দলের অংশগ্রহণ
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ভোটার অধিকার যাত্রায় সিপিআই (এমএল) মহাসচিব দীপঙ্কর ভট্টাচার্য প্রধানত অংশ নিয়েছিলেন। এর বিপরীতে, সিপিআই এবং সিপিআই (এম)-এর অন্যান্যishishta নেতারা দূরত্ব বজায় রেখেছিলেন। পাটনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে খুব কম সংখ্যক নেতা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। এই সময় রাষ্ট্রীয় জনতা দল, কংগ্রেস এবং অন্যান্য সহযোগী দলের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
দীপঙ্কর ভট্টাচার্য পুরো যাত্রা জুড়ে রাহুল গান্ধী এবং তেজস্বী যাদবের সাথে দেখা গিয়েছিল। সিপিআই-এর জাতীয় সম্পাদক এনি রাজা এবং সিপিআই (এম)-এর মহাসচিব এম.এ. बेबी শুধুমাত্র শেষ অনুষ্ঠানে তাদের উপস্থিতি জানান। এটি স্পষ্ট করে যে বাম দলগুলি কংগ্রেসের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায়।
বাম দলগুলির मजबুরি কী?
বিহারের রাষ্ট্রীয় জনতা দল এবং কংগ্রেসের সাথে তিনটি প্রধান বামপন্থী দলের নির্বাচনী জোট প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণভাবে দেখা গেছে। এর মধ্যে বিকাশশীল ইনসান পার্টি (VIP)-ও অন্তর্ভুক্ত। এই জোটের মূল উদ্দেশ্য হলো বিজেপি বিরোধী ফ্রন্ট তৈরি করা।
ভিন্ন মতাদর্শ এবং সামাজিক-অর্থনৈতিক পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, বাম দলগুলি নির্বাচনী मजबুতির কারণে এই জোটে যোগ দিয়েছে। তাদের বিশ্বাস, বিজেপি-র শাসনামলে সাম্প্রদায়িক শক্তিগুলি সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই তারা এই জোটকে দেশहितের দৃষ্টিকোণ থেকে জরুরি বলে মনে করে।
সিপিআই (এমএল) এবং সিপিআই (এম)-এর দৃষ্টিভঙ্গি
সিপিআই (এমএল)-এরishishta নেতারা বলছেন যে এই জোট তাদের হারানো রাজনৈতিক জমি পুনরুদ্ধারের একটি সুযোগও। তবে, তারা এটিকে কেবল একটি নির্বাচনী কৌশল হিসেবে দেখছে এবং কংগ্রেস বা আরজেডি-র শাসনকালে উত্থাপিত দুর্নীতি বা অন্যান্য বিষয়গুলি থেকে দূরত্ব বজায় রাখছে।