বিহারের ভোটার তালিকা সংশোধন নিয়ে তেজस्वी যাদবের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে বিরোধী ভোটারদের বাদ দেওয়ার অভিযোগ। নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বয়কটের সম্ভাবনা জানিয়েছেন তিনি।
Bihar Voter List: বিহারের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোটার তালিকার বিশেষ সংশোধন অভিযান (Special Intensive Revision - SIR) নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উত্তেজনা বাড়ছে। এইবার শুধু ভোটার তালিকায় নাম যোগ করা বা বাদ দেওয়ার বিষয় নয়, বরং পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে। বিরোধী নেতা তেজस्वी যাদব ইঙ্গিত দিয়েছেন যে পরিস্থিতি না improvement হলে বিরোধী দল নির্বাচন বয়কটের মতো বড় পদক্ষেপ নিতে পারে।
তেজস্বীর তোলা গুরুতর প্রশ্ন
রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) নেতা তেজस्वी যাদব সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেন, যখন নির্বাচন নিরপেক্ষভাবে করানো হচ্ছে না, তখন আমরা কেন নির্বাচনে অংশ নেব? তিনি আরও বলেন যে বয়কটের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না এবং এই বিষয়ে বিরোধী দলগুলির সাথে আলোচনা করা হবে। তেজস্বীর এই বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন রাজ্যের রাজনীতিতে এই বিষয়টি দ্রুত গতি পাচ্ছে।
৫২ লক্ষেরও বেশি নাম বাদ দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন
তেজस्वी যাদব নির্বাচন কমিশনের সাম্প্রতিক প্রেস নোটের हवाला দিয়ে বলেন যে ৫২ থেকে ৫৫ লক্ষ ভোটারকে ভোটার তালিকা থেকে অনুপস্থিত দেখানো হয়েছে। কমিশনের বক্তব্য হল এদের মধ্যে কিছু মানুষ মারা গেছেন, কিছু স্থায়ীভাবে অন্য স্থানে স্থানান্তরিত হয়েছেন। কিন্তু তেজস্বীর প্রশ্ন হল, যদি এত মানুষের মৃত্যু বা স্থানান্তর হয়ে থাকে, তবে আগে কেন এই নামগুলো সরানো হয়নি?

তিনি কটাক্ষ করে বলেন যে নির্বাচন কমিশন আগে ঘুমিয়ে ছিল নাকি? এটা কি সম্ভব যে মাত্র চার মাসে ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ বিহার ছেড়ে চলে গেছেন? তিনি এই পুরো প্রক্রিয়াটিকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করেন যে কমিশন বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে।
"এখন সরকার ভোটারদের নির্বাচন করছে"
তেজस्वी যাদবের সবচেয়ে কড়া মন্তব্য ছিল, "আগে ভোটাররা সরকার নির্বাচন করত, এখন সরকার ভোটারদের নির্বাচন করছে।" তিনি দাবি করেন যে পুরো ভোটার তালিকা সংশোধন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখা হচ্ছে না।
তিনি অভিযোগ করেন যে বিএলও (Booth Level Officer) নিজেই যাচাই করছেন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে স্বাক্ষর ও নথি আপলোড করছেন। সাধারণ মানুষ এই প্রক্রিয়া বুঝতে পারছে না এবং তারা ভয় পাচ্ছে যে তাদের নাম যদি বাদ যায় তাহলে রেশন এবং পেনশন-এর মতো সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে।
নথি নিয়েও প্রশ্ন
তেজस्वी আরও বলেন যে কমিশন SIR-এর জন্য যে ১১ ধরনের নথির কথা বলেছে, তার মধ্যে অনেক নথি গরিব এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের কাছে নেই। পাশাপাশি তিনি আরও অভিযোগ করেন যে কমিশন আধার, রেশন কার্ড এবং মনरेगा জব কার্ডের মতো নথিকে নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। এর ফলে ভোটাররা বিভ্রান্তি ও ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
বিরোধীদের অভিযোগ
তেজस्वी যাদব নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন যে যদি কমিশন বিরোধী দলগুলির আশঙ্কাকে উপেক্ষা করতে থাকে, তবে এটি গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক। তিনি আরও দাবি করেন যে কমিশন শুধু নিয়ম রক্ষার জন্য কাজ করছে এবং সুপ্রিম কোর্টে পেশ করার জন্য ডেটা সংগ্রহ করছে।













