প্রধান খবর: পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসলেও বিজেপি রাজ্য কমিটি এখনও গঠন করতে পারল না। রাজ্য কমিটিতে ৩১ জন পদাধিকারীর অন্তর্ভুক্তি প্রয়োজন, যারা শুধু সাংগঠনিক কাজ করবে, নির্বাচনে লড়বে না। কিন্তু কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশল এবং রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ভোটে লড়তে আগ্রহী নেতাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় কমিটিতে যোগ দেওয়ার উৎসাহ কম। এখন নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মিশ্রণে দ্রুত কমিটি ঘোষণা করার পরিকল্পনা করছে বঙ্গ বিজেপি।
রাজ্য কমিটি গঠনের ব্যর্থতা ও কারণ
রাজ্য কমিটিতে ৩১ জন সাংগঠনিক পদাধিকারী থাকা বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের যুক্তি, যারা কমিটির দায়িত্ব নেবেন, তারা ভোটে লড়বেন না। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক বাস্তবতায়, এমন নিষ্ঠাবান নেতার সংখ্যা খুবই সীমিত। ভোটে লড়তে চাওয়া নেতা-কর্মীরা কমিটিতে যোগ দিতে অনীহা দেখাচ্ছেন।
কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক বনশলের দৃষ্টিভঙ্গি
সুনীল বনশল মনে করেন, রাজ্য কমিটির কার্যক্রম সফল করতে হলে নেতা-কর্মীদের পুরোপুরি সময় দিতে হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নিজের এলাকার দায়িত্ব সামলানোর মাঝে ভারসাম্য রাখা সম্ভব নয়। এই কারণেই গঠন প্রক্রিয়ায় ধীরগতি দেখা দিচ্ছে।
সম্ভাব্য সমাধান ও নতুন ফর্মুলা
সূত্রের খবর অনুযায়ী, বিজেপি নবীন ও প্রবীণ নেতাদের মিশ্রণে রাজ্য কমিটি গঠনের পরিকল্পনা করছে। পুরনো নেতা-কর্মীদের সামনের সারিতে নিয়ে আসার সম্ভাবনাও রয়েছে। বিভিন্ন ফর্মুলা প্রয়োগ করে দ্রুত কমিটি ঘোষণা করা নেতাদের লক্ষ্য।
রাজ্যের রাজনীতিতে প্রভাব
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই রাজ্য কমিটি গঠনের দেরি দলের কর্মক্ষমতা ও সংগঠনের প্রস্তুতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। তাই দ্রুত রফাসূত্র খুঁজে কমিটি গঠন করার ওপর দলের নজর।
পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য কমিটি গঠনে আটকে রয়েছে বিজেপি। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনশলের নির্দেশে যারা সংগঠনের দায়িত্ব সামলাবেন, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না। কিন্তু ভোটে লড়তে ইচ্ছুক নেতাদের কারণে রাজ্য কমিটিতে যোগদানের উৎসাহ কম। এই জটিলতার মাঝেই বিজেপি বিভিন্ন ফর্মুলা খুঁজছে দ্রুত কমিটি গঠন করার জন্য।