মুজাফ্ফরপুরের গায়ঘাটে জন সুরাজ পার্টির টিকিট বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। উকিল সাহানির নেতৃত্বে কর্মীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন এবং দল থেকে গণপদত্যাগ করেন। বিক্ষোভে পারিবারিক সুবিধা কার্ড এবং নথি পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বিহার: মুজাফ্ফরপুরের গায়ঘাট ব্লক এলাকায় জন সুরাজ পার্টিতে টিকিট বণ্টন নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবার জারাং বলুয়াহা গ্রামে দলের সম্ভাব্য প্রার্থী উকিল সাহানির নেতৃত্বে কর্মীরা দলের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। এই সময় ক্ষুব্ধ নেতা ও কর্মীরা শত শত পারিবারিক সুবিধা কার্ড এবং দলের সাথে যুক্ত অন্যান্য নথিপত্র পুড়িয়ে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
গণপদত্যাগ
টিকিট না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ উকিল সাহানি নিজের বাড়িতে একটি বৈঠক ডেকে দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে গণপদত্যাগের ঘোষণা করেন। সাহানি অভিযোগ করেন যে, দলের প্রধান প্রশান্ত কিশোর বিহারকে উন্নত করার পরিবর্তে নষ্ট করতে ব্যস্ত। তিনি বলেন যে, দল বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দুই হাজারেরও বেশি মানুষকে টিকিট দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল এবং আগ্রহী প্রার্থীদের কাছ থেকে ২১ হাজার টাকা সদস্যপদ ফি নেওয়া হয়েছিল, কিন্তু প্রক্রিয়ার মাঝপথেই অন্য দলের নেতাদের টিকিট দেওয়া হয়েছে।
সাহানি কটাক্ষ করে বলেন, “প্রশান্ত কিশোর নয়, ইনি হলেন 'পরেশান' কিশোর। জন সুরাজ নয়, এ হল 'ধন সুরাজ'।" তিনি জানান যে, গায়ঘাট বিধানসভা এলাকায় প্রথমে সাত জন সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল, কিন্তু শেষ মুহূর্তে দল অন্য এক দলের নেতাকে টিকিট দিয়ে সবাইকে প্রতারিত করেছে।
কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ
সাহানি এও অভিযোগ করেন যে, দলের কর্মীদের উপর জোর করে প্রচার এবং সাংগঠনিক কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছিল। এর ফলে কর্মীদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা দলের প্রতি নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে সম্মিলিতভাবে পদত্যাগ করেন।
প্রতিবাদ কর্মসূচিতে প্রাক্তন প্রার্থী সীতারাম সাহ, সুরেন্দ্র কুমার শোলে, বাবলু যাদব সহ কয়েক ডজন কর্মী উপস্থিত ছিলেন। সকলেই জন সুরাজ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন।