নেপালের মতো বাংলাতেও গণঅভ্যুত্থান দরকার’ — বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজনীতি

নেপালের মতো বাংলাতেও গণঅভ্যুত্থান দরকার’ — বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহর বিস্ফোরক মন্তব্যে তোলপাড় রাজনীতি

নেপালের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে পশ্চিমবঙ্গেও বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তাঁর দাবি—দুর্নীতির বিরুদ্ধে বাংলায়ও গণঅভ্যুত্থান জরুরি। সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক ঝড়।

নেপালের অশান্তি ঘিরে বিস্ফোরক মন্তব্য

সম্প্রতি নেপালে সমাজমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর শুরু হয় ভয়াবহ অশান্তি। দেশজুড়ে রাস্তায় নামে ছাত্র–যুবরা, দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ক্ষোভের আগুন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ মন্তব্য করেন, ‘নেপালের মতো বাংলাতেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান হওয়া প্রয়োজন।’

অর্জুন সিংহের দাবি: রক্তপাত ছাড়া দুর্নীতির অবসান হয় না

বিজেপি নেতার বক্তব্যে স্পষ্ট—তিনি মনে করেন দুর্নীতিগ্রস্ত শাসন ব্যবস্থাকে হঠাতে গণঅভ্যুত্থান ছাড়া অন্য কোনও পথ নেই। তাঁর দাবি, বিনা রক্তপাতে দুর্নীতির অবসান সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই এই মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ

বিজেপি নেতার মন্তব্যের প্রেক্ষিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ—অর্জুন সিংহ আসলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হত্যার ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। শাসকদল সরাসরি ‘খুনের চক্রান্ত’ বলে দাবি করেছে এই বক্তব্যকে।

অভিযোগ দায়ের ব্যারাকপুর কমিশনারেটে

শুধু মুখের কথায় সীমাবদ্ধ থাকেনি তৃণমূল। তারা ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অন্তর্গত একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। ভাটপাড়া, জগদ্দল, নৈহাটি, টিটাগড়–সহ বিভিন্ন থানায় আলাদা করে অভিযোগ জমা পড়েছে। রাজনৈতিক সংঘাত আরও তীব্র রূপ নেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

নেপালে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি

অন্যদিকে, নেপালে এখনও চলছে বিশৃঙ্খলা। প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের পরও থামেনি অগ্নিগর্ভ আন্দোলন। সংসদ ভবন দখল, মন্ত্রীর ওপর হামলা, ভাঙচুর—সবই চলতে থাকে। সেনা মোতায়েন হলেও শান্তি ফেরেনি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরতেই অর্জুন সিংহ বাংলার প্রসঙ্গে তুলনা টানেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

নেপালের পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলার রাজনীতি তুলনা করে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তাঁর বক্তব্যে তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি। একদিকে শাসক দল অভিযোগ করছে খুনের চক্রান্তের, অন্যদিকে বিজেপি শিবির বলছে এটি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনআন্দোলনের ডাক। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেদিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

Leave a comment