বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি বাংলায় জয় শ্রীরামের বদলে মা কালী ও দুর্গার আরাধনা শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী মোদীও তাঁর ভাষণের শুরুতেই মা কালীর নাম নিচ্ছেন। এই রণনীতি বদলাতে থাকা রাজনীতির ইঙ্গিত।
Bengal: পশ্চিমবঙ্গে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি জোরকদমে চলছে এবং বিজেপিকে এবার তাদের রণনীতিতে বড়সড় পরিবর্তন করতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে আগে নির্বাচনী মিছিল ও প্রচার অভিযানে জয় শ্রীরাম ধ্বনি প্রধানভাবে শোনা যেত, এখন বিজেপি মা কালী ও মা দুর্গার আরাধনাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এই পরিবর্তন শুধু ভাষণ বা মঞ্চ পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়, বরং দলের চিন্তা ও বার্তাতেও স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর মা কালীর নাম দিয়ে শুরু
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্প্রতি দুর্গাপুরে হওয়া এক সভায় তাঁর ভাষণ শুরু করেন মা কালী ও মা দুর্গার নাম দিয়ে। এই ভাষণ রাজনৈতিক মহলে বিজেপির নতুন রণনীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। এই সভার আমন্ত্রণপত্রেও মা কালীর উল্লেখ ছিল। সভা চলাকালীন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে মা দুর্গার একটি মূর্তি উপহার দেন।
এই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীকে প্রচলিত গাঁদা বা গোলাপের বদলে রজনীগন্ধার মালা পরানো হয়, যা বাংলার সাংস্কৃতিক পূজা-পদ্ধতিতে বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।
নতুন রাজ্য সভাপতির স্বাগত অনুষ্ঠানে মা কালীর ছবি
বিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতি শমিক ভট্টাচার্যের স্বাগত অনুষ্ঠানে মা কালীর একটি বড় ছবি লাগানো হয়েছিল, যেখানে বিজেপি নেতারা মাল্যদান করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এই আয়োজন স্পষ্ট করে দেয় যে বিজেপি এখন বাংলার সাংস্কৃতিক পরিচয়ের সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করার চেষ্টায় লেগেছে।
বাংলায় জয় শ্রীরামের প্রভাব নেই
গত কয়েকটি নির্বাচনে বিজেপি জয় শ্রীরাম স্লোগানকে তাদের প্রধান রণনীতি বানিয়েছিল। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে দল পূর্ণ আশা নিয়ে মাঠে নেমেছিল, কিন্তু তারা শুধুমাত্র ৭৭টি আসনে সন্তুষ্ট থাকতে বাধ্য হয়। এর আগে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে দলটি ১৮টি আসন জিতেছিল, যা সাম্প্রতিক নির্বাচনে কমে ১২টিতে দাঁড়িয়েছে। এই ফলাফলগুলির পর বিজেপি এটা অনুভব করেছে যে শুধুমাত্র উগ্র হিন্দুত্বের सहारे বাংলা জয় করা সম্ভব নয়।