পদ্মের সভায় লকেটের অনুপস্থিতি অদৃশ্য হাত কি সক্রিয়?

পদ্মের সভায় লকেটের অনুপস্থিতি অদৃশ্য হাত কি সক্রিয়?

দমদমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় ডাক পাননি রাজ্য বিজেপির অন্যতম সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই অনুপস্থিতি শুধু স্থানীয় স্তরের নয়, পুরো বঙ্গ–বিজেপির মধ্যে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দলের ভেতরে ‘অদৃশ্য হাত’–এর ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এবার তা কার্যত প্রকাশ্যে এসেছে।

ভারতী ঘোষের আগের ইঙ্গিত

দিন পাঁচেক আগে কলকাতার ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে বিজেপির ‘নারী শক্তি সম্মেলন’–এ ডাক পাননি ভারতী ঘোষ। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, “আজ বঙ্গ–বিজেপি দ্বারা আয়োজিত সম্মেলনে আমাকে ডাকা হয়নি।” সেই দিনই তিনি ইঙ্গিত দেন, ‘অদৃশ্য হাত’ কার্যকর রয়েছে। এই ইঙ্গিতই এখন লকেটের অনুপস্থিতির সঙ্গে জড়িয়ে, সন্দেহের গণ্ডি প্রসারিত করেছে।

লকেটকে কেন ডাকা হলো না?

দমদমের সভায় ডাক না পেয়ে নেতা-সদস্যদের মধ্যে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যেরও জানা ছিল না যে লকেটকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়নি। রাতে শমীক লকেটকে ফোন করে অবস্থা জেনে নেন। এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে—দলের ভেতরের কে বা কি এই ‘অদৃশ্য হাত’-কে সক্রিয় করছে?

বর্ষীয়ান নেতার মন্তব্য

এক অভিজ্ঞ বিজেপি নেতা মন্তব্য করেছেন, “যে অদৃশ্য হাত ভারতী ঘোষকে কোণঠাসা করছে, সেই একই হাত লকেটকে ব্রাত্য রেখেছে প্রধানমন্ত্রীর সভায়। এটি পূর্বে ২০২৪–এর লোকসভা ভোটেও দলের ক্ষতি করেছিল, এবার ২০২৬–এর নির্বাচনের আগে আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।” এই মন্তব্য প্রমাণ করে, দলীয় ভেতরে কৌশলগত তফাত ও অদৃশ্য শক্তির অস্তিত্ব এখনও শক্তিশালী।

গেরুয়া ব্রিগেডে প্রশ্নের সৃষ্টি

রাজ্য বিজেপির ভেতরে গুঞ্জন শুরু হলেও কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নয়। নেতাদের মধ্যে সঠিক তথ্য ও পরিকল্পনার অভাবে ‘অদৃশ্য হাত’–এর রহস্যের জট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। শীঘ্রই কেউ কি সাহসিকতার সঙ্গে মুখ খুলবেন, এবং দলের অন্দরে অদৃশ্য শক্তির সুত্রপাত খুঁজে বের করবেন—এটাই এখন প্রধান প্রশ্ন।

ভবিষ্যতের দিকে নজর

অদৃশ্য হাতের কার্যক্রম কেবল নেতাদের মনোবল নয়, ভোটের ফলাফলের ক্ষেত্রেও প্রভাব ফেলতে পারে। বিজেপি নেতারা এখন সতর্ক; দলের একতা বজায় রাখা ও অদৃশ্য শক্তিকে রুখতে কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ সময়ের দাবি।

Leave a comment