এই ৪ ধরনের খাবার খেলে দূরে থাকবে ক্যান্সার, কী কী খাবেন জানুন

এই ৪ ধরনের খাবার খেলে দূরে থাকবে ক্যান্সার, কী কী খাবেন জানুন

ক্যান্সার প্রতিরোধী খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু নির্দিষ্ট খাবার শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে দেয়। এই খাবারগুলির মধ্যে রয়েছে বেরিজাতীয় ফল, মিষ্টি আলু, ব্রকোলি-ফুলকপি জাতীয় সবজি এবং ডালজাতীয় খাদ্য। পুষ্টিবিদদের মতে, নিয়মিত এই খাবারগুলি গ্রহণ করলে শরীরে জমে থাকা টক্সিন দূর হয়, কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি কমে এবং ক্যান্সারের আশঙ্কা হ্রাস পায়।

বেরিজাতীয় ফল: প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ক্যান্সার শক্তি

স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র‍্যাশবেরি ও ব্ল্যাকবেরির মতো ফলগুলিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শরীরের কোষকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। বিশেষত স্তন ক্যান্সার বা ত্বকজনিত ক্যান্সার প্রতিরোধে এই ফলগুলি বিশেষ ভূমিকা রাখে।আমলকি, জাম ও আঙুরের মতো দেশীয় ফলও সমান কার্যকর। নিয়মিত এই ফল খেলে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং শরীরের প্রদাহ কমে।

মিষ্টি আলু: রাঙা রঙের ভেতর লুকিয়ে শক্তিশালী প্রতিরোধক

মিষ্টি আলুতে থাকে অ্যান্থোসায়ানিন, যা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষের বৃদ্ধি রোধ করে। এটি জিনগত কারণে সৃষ্ট ক্যান্সার ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে।পুষ্টিবিদদের মতে, সপ্তাহে অন্তত দু’বার রাঙা আলু খাওয়া উচিত—সেদ্ধ বা ভাপে খেলে সর্বাধিক পুষ্টিগুণ বজায় থাকে।

কপিজাতীয় সবজি: কোষের বৃদ্ধি থামিয়ে দেয় প্রাকৃতিকভাবে

ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় সবজিতে রয়েছে মাইরোসিনেজ এনজাইম, যা ক্যান্সার প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর। এই এনজাইম কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং এস্ট্রোজেন হরমোনকে এমনভাবে পরিবর্তন করে, যাতে তা ক্ষতিকর না হয়।বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রতিদিনের ডায়েটে অল্প পরিমাণ ব্রকোলি বা বাঁধাকপি রাখলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই কমে।

ডাল ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার: শরীরের ডিটক্স প্রক্রিয়াকে সক্রিয় রাখে

ডাল, গোটাশস্য, শাকসবজি ও ফলের মতো ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে এবং শরীর থেকে কার্সিনোজেন পদার্থ বের করে দেয়।এর ফলে অন্ত্র, প্যানক্রিয়াস ও কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা হ্রাস পায়। পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, প্রতিদিন অন্তত ২৫–৩০ গ্রাম ফাইবার শরীরে থাকা উচিত, যা সহজেই ডাল ও শস্যজাতীয় খাবার থেকে পাওয়া যায়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত কিছু পুষ্টিকর খাবার খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমানো যায়। বেরিজাতীয় ফল, মিষ্টি আলু, কপিজাতীয় সবজি ও ডালজাতীয় খাবারে রয়েছে এমন উপাদান, যা শরীরকে ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে এবং রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ক্ষমতা বাড়ায়।

Leave a comment