কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং ছত্তিশগড়ে চারটি রেল প্রকল্পের জন্য ₹২৪,৬৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে অনুমোদন দিয়েছে। এর মাধ্যমে ১৮টি জেলা এবং ৩,৬৩৩টি গ্রামের ৮৫.৮৪ লক্ষ মানুষ উন্নত সংযোগ সুবিধা পাবে। নতুন লাইনগুলি ট্রেনের গতি বাড়াবে, বিলম্ব কমাবে এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে।
রেল মন্ত্রক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা মঙ্গলবার চারটি বড় রেল প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে, যার মোট ব্যয় হবে ₹২৪,৬৩৪ কোটি টাকা। এই প্রকল্পগুলি মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, গুজরাট এবং ছত্তিশগড়ের ১৮টি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং ৮৯৪ কিলোমিটার নতুন রেললাইন স্থাপন করা হবে। ওয়ার্ধা-ভুসাওয়াল, গোন্ডিয়া-ডোঙ্গারগড়, ভাদোদরা-রতলাম এবং ইটারসি-ভোপাল-বিনা বিভাগে তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন তৈরি করা হবে। এর ফলে ৮৫.৮৪ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবে, রেল নেটওয়ার্কের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, ট্রেনের গতি উন্নত হবে এবং নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
অনুমোদিত প্রকল্পগুলি
কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা যে চারটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে:
- ওয়ার্ধা-ভুসাওয়াল তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন – এই প্রকল্পটি মহারাষ্ট্রে ৩১৪ কিলোমিটার দূরত্ব কভার করবে।
- গোন্ডিয়া-ডোঙ্গারগড় চতুর্থ লাইন – এই প্রকল্পটি মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ে ৮৪ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
- ভাদোদরা-রতলাম তৃতীয় ও চতুর্থ লাইন – এই প্রকল্পটি গুজরাট এবং মধ্যপ্রদেশের মধ্যে ২৫৯ কিলোমিটার দূরত্ব সংযুক্ত করবে।
- ইটারসি-ভোপাল-বিনা চতুর্থ লাইন – মধ্যপ্রদেশে ২৩৭ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত এই লাইনটি প্রধান শহর এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করবে।
এই চারটি প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতীয় রেলওয়ের নেটওয়ার্কে মোট ৮৯৪ কিলোমিটার বৃদ্ধি পাবে।
গ্রাম এবং জনসংখ্যা উপকৃত হবে
রেল মন্ত্রকের মতে, এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে প্রায় ৩,৬৩৩টি গ্রামের সংযোগ উন্নত হবে। এই অঞ্চলগুলির মোট জনসংখ্যা প্রায় ৮৫.৮৪ লক্ষ, যারা সরাসরি এই প্রকল্পগুলি থেকে উপকৃত হবে। এতে দুটি আকাঙ্ক্ষিত জেলা – বিদিশা (মধ্যপ্রদেশ) এবং রাজনন্দগাঁও (ছত্তিশগড়) অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা উন্নত রেল সুবিধা পাবে।
সংযোগ এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন
মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পগুলির মাধ্যমে যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে ট্রেনের গতি উন্নত হবে এবং বিলম্ব কমবে। রেল নেটওয়ার্কের ক্ষমতা বৃদ্ধির সাথে সাথে এই অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডেরও প্রসার ঘটবে। নতুন রেললাইনগুলির কারণে স্থানীয় ব্যবসাগুলি উপকৃত হবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।
গতিশীলতার উন্নতি
রেল মন্ত্রক জানিয়েছে যে এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে ভারতীয় রেলের পরিচালনগত দক্ষতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হবে। মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে যানজট কমবে এবং কার্যক্রম আরও সুসংগঠিত হবে। রেলের এই পরিকল্পনাগুলি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর 'নতুন ভারত'-এর দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ। এর উদ্দেশ্য হল আঞ্চলিক মানুষদের ব্যাপক উন্নয়নের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা এবং তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করা।
মাল্টি-ট্র্যাকিংয়ের সুবিধা
মাল্টি-ট্র্যাকিং প্রকল্পগুলির প্রধান সুবিধা হল যাত্রী এবং পণ্যবাহী ট্রেনগুলির মধ্যে সমন্বয় উন্নত হবে। এটি ট্রেনের সংখ্যা বাড়াতে এবং সময়মতো চলাচল নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। এই প্রকল্পগুলির মাধ্যমে দূরপাল্লার ট্রেনগুলির পরিচালনায় সুবিধা হবে এবং যাত্রীরা দ্রুত ও নিরাপদ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করবে।