চারধামের কপাট বন্ধ হওয়ার পর শীতকালীন যাত্রা থেকে পর্যটন ব্যবসায় গতি আসবে। এই প্রস্তুতির জন্য রাজ্য সরকার কাজ শুরু করেছে। যাত্রা চারধামের শীতকালীন আবাসস্থলগুলি থেকে পরিচালিত হবে।
দেরাদুন: চারধামের কপাট বন্ধ হওয়ার পর উত্তরাখণ্ড সরকার শীতকালীন যাত্রার মাধ্যমে রাজ্যের পর্যটন ব্যবসাকে সক্রিয় রাখার প্রস্তুতি শুরু করেছে। এই সময়ে ভক্তদের জন্য আবাসস্থলগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা করা হবে এবং প্রধান ধামগুলির শীতকালীন আবাসস্থলগুলিতে পূজা-অর্চনা চলতে থাকবে।
চারধাম যাত্রার গুরুত্ব শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, এটি রাজ্যের অর্থনীতি এবং পর্যটন শিল্পের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা হল, বছরের বেশিরভাগ মাস জুড়ে যাত্রা মসৃণভাবে চলতে থাকুক।
কপাট বন্ধ হওয়ার তারিখগুলি
উত্তরাখণ্ডে দীপাবলির পর এই বছর কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী এবং যমুনোত্রী ধামের কপাট বন্ধ হবে। অন্যদিকে, বদ্রীনাথ ধামের কপাট ২৫ নভেম্বর বন্ধ করা হবে।
- কেদারনাথ ধাম: কেদারনাথ ধামের কপাট বন্ধ হওয়ার পর উখীমঠস্থিত ওঙ্কারেশ্বর মন্দিরে বাবা কেদারের পূজা অর্চনা করা হবে।
- বদ্রীনাথ ধাম: বদ্রীনাথের আবাসস্থল যোগ বদ্রী পাণ্ডুকেশ্বর এবং জ্যোতির্মঠে নৃসিংহ মন্দিরে শীতকালীন যাত্রা পরিচালিত হবে।
- যমুনোত্রী ধাম: যমুনোত্রীর আবাসস্থল খরসালীতে পূজার ব্যবস্থা করা হবে।
- গঙ্গোত্রী ধাম: গঙ্গোত্রী ধামের আবাসস্থল মুখবাতে ভক্তদের জন্য পূজা-অর্চনা ও দর্শনের সুবিধা থাকবে।
আবাসস্থলগুলিতে প্রস্তুতি
রাজ্য সরকার শীতকালীন যাত্রাকে সুবিধাজনক করতে আবাসস্থলগুলিতে ব্যবস্থাগুলি সুবিন্যস্ত করেছে। গত বছর শীতকালীন যাত্রায় চারধামের আবাসস্থলগুলিতে প্রায় ৭০,০০০ ভক্ত দর্শন করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী বাবা কেদারের শীতকালীন আবাসস্থল ওঙ্কারেশ্বর মন্দির থেকে যাত্রার সূচনা করেছিলেন। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী গঙ্গোত্রী ধামের আবাসস্থল মুখবাতে পৌঁছে দেশজুড়ে শীতকালীন যাত্রার বার্তা দিয়েছিলেন।
এই বছরও সরকার আবাসস্থলগুলিতে ভক্তদের জন্য আরও ভালো ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। পর্যটন মন্ত্রী সতপাল মহারাজ জানিয়েছেন যে, গত বছরের তুলনায় এবার আরও ব্যাপক ব্যবস্থা করা হবে যাতে ভক্তরা আরামদায়ক এবং নিরাপদ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন।
উত্তরাখণ্ডের চারধাম যাত্রা রাজ্যের পর্যটন এবং স্থানীয় অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। শীতকালীন যাত্রার সময় স্থানীয় দোকানদার, হোটেল ব্যবসায়ী এবং পরিবহন পরিষেবাগুলি লাভবান হয়। সরকারের উদ্দেশ্য হল, সারা বছর ধরে যাত্রার মাধ্যমে কর্মসংস্থান এবং পর্যটন কার্যক্রম বজায় রাখা।