ছত্তীসগঢ়ে মুখ্য সচিব নিয়োগ স্থগিত, রাজনৈতিক মহলে তৎপরতা

ছত্তীসগঢ়ে মুখ্য সচিব নিয়োগ স্থগিত, রাজনৈতিক মহলে তৎপরতা

ছত্তীসগঢ়ে পরবর্তী মুখ্য সচিবের নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। বর্ষাকালীন অধিবেশনের আগে বিজেপি এবং কংগ্রেসের কৌশল চূড়ান্ত করা হচ্ছে। উভয় দলের শীর্ষ নেতারা রাজ্য সফর করবেন। রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।

Chhattisgarh Politics: ছত্তীসগঢ়ে মুখ্য সচিবের নিয়োগ আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। এরই মধ্যে সরকার বর্ষাকালীন অধিবেশনের প্রস্তুতিতে নেমেছে। অন্যদিকে, বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয় দলই রাজ্যে বড় ধরনের কৌশলগত প্রস্তুতিতে লেগেছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে জেপি নাড্ডা, অমিত শাহ, মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং কেসি वेणुগোপাল-এর মতো শীর্ষস্থানীয় নেতারা ছত্তীসগঢ় সফরে থাকবেন। এমন পরিস্থিতিতে বিধানসভা অধিবেশন শুরুর আগে রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে উঠেছে।

মুখ্য সচিবের নিয়োগ তিন মাসের জন্য স্থগিত

রাজ্য সরকার বর্তমান মুখ্য সচিব অমিতাভ জৈনের মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়িয়েছে। ৩০ জুন আনুষ্ঠানিক বিদায়ের পর তাকে এই মেয়াদ বৃদ্ধি দেওয়া হয়েছে। তাঁর উত্তরসূরি হিসেবে সুব্রত সাহু, মনোজ পিঙ্গুয়া এবং অমিত আগরওয়ালের নাম আলোচনায় ছিল। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাইয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য ক্যাবিনেট বৈঠকের আগেই কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে ইঙ্গিত পাওয়ার পরে এই সিদ্ধান্ত আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

রাজ্যের ২৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার মুখ্য সচিবের মেয়াদ তিন মাসের জন্য বাড়ানো হয়েছে। একইভাবে, ডিজিপি পদেও অরুণদেব গৌতম ফেব্রুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত ডিজিপির দায়িত্ব পালন করছেন। এই পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধী দল সরকারের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্তহীনতার অভিযোগ করছে।

কংগ্রেসের কৌশল: কৃষক, জওয়ান এবং সংবিধানের উপর কেন্দ্র করে আক্রমণ

কংগ্রেস নেতৃত্ব রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে কোণঠাসা করার জন্য ঐক্যের চেষ্টা করছে। দলটি কৃষক, জওয়ান এবং সংবিধানের বিষয়গুলি নিয়ে বিশেষ সভা করার কৌশল তৈরি করেছে। দলের লক্ষ্য সরাসরি কেন্দ্র সরকারের দিকে।

কংগ্রেসের মুখপাত্ররা ইঙ্গিত দিয়েছেন যে বর্ষাকালীন অধিবেশনে আইন-শৃঙ্খলা, নারী নিরাপত্তা, আদিবাসী অধিকার এবং কৃষকদের সমস্যাগুলির মতো বিষয়গুলি উত্থাপন করা হবে। বস্তার অঞ্চলে মাওবাদ এবং শিল্প উন্নয়ন নিয়েও কংগ্রেস আলোচনা করবে।

যদিও কংগ্রেসের অভ্যন্তরে মতভেদও প্রকাশ্যে এসেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল সম্প্রতি এক বৈঠকে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি দীপক बैজ এবং বিরোধী দলনেতা ড. চরণদাস মহন্তের বিরুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক অবস্থান না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। জবাবে ড. মহন্ত বলেছেন যে তিনি বর্ষাকালীন অধিবেশনে লাঠি নিয়ে বিধানসভায় পৌঁছবেন।

বিজেপির কৌশলগত প্রশিক্ষণ শিবির

অন্যদিকে, বিজেপি তাদের বিধায়ক এবং সাংসদদের জন্য সরগুজার ম্যানপাটে তিন দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করেছে। জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই শিবিরে উপস্থিত থাকবেন।

শিবিরে জনপ্রতিনিধিদের ছত্তীসগঢ়ের উন্নয়নে তাদের ভূমিকা নির্ধারণ এবং কেন্দ্র সরকারের নীতিগুলি কার্যকর করার কৌশল শেখানো হবে। এছাড়াও, সংঘের শতবর্ষ এবং রাজ্যের রজত জয়ন্তী বর্ষ উদযাপন নিয়েও আলোচনা হবে।

শিক্ষা বিভাগের সিদ্ধান্ত শিরোনামে

মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই শিক্ষা মন্ত্রী হিসেবে সম্প্রতি একটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রাজ্যের প্রায় সাড়ে চারশো শিক্ষকবিহীন এবং পাঁচ হাজার এক শিক্ষকবিশিষ্ট স্কুলে ১৩ হাজারের বেশি শিক্ষকের বদলি করা হয়েছে। এর ফলে স্কুলগুলিতে পড়াশোনার পরিবেশ উন্নত করার চেষ্টা করা হয়েছে।

এই পদক্ষেপ সরকারের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি করতে সহায়ক হতে পারে। অন্যান্য বিভাগের মন্ত্রীদের জন্যও এটি একটি ইঙ্গিত যে দীর্ঘদিন ধরে একই স্থানে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দায়িত্বে পরিবর্তনের প্রয়োজন। এই বিষয়গুলি আসন্ন নির্বাচনে আলোচনার বিষয় হতে পারে।

Leave a comment