লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী গ্যাংস্টার ময়ঙ্ক সিংকে আজারবাইজানে আটক, শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ

লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সহযোগী গ্যাংস্টার ময়ঙ্ক সিংকে আজারবাইজানে আটক, শীঘ্রই ভারতে প্রত্যর্পণ

গ্যাংস্টার ময়ঙ্ক সিং, যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং রাজস্থান, পাঞ্জাব, হরিয়ানাতে অনেক গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিল, তাকে গত বছর আজারবাইজানের বাকুতে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় সন্ত্রাস দমন শাখা (এটিএস) তার প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ার ওপর নজর রাখছে এবং অনুমান করা হচ্ছে যে তাকে শনিবারের মধ্যে ভারতে আনা হবে।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সন্ত্রাস দমন শাখার (এটিএস) একটি দল আজারবাইজানের বাকুতে পৌঁছেছে দুর্ধর্ষ গ্যাংস্টার ময়ঙ্ক সিংয়ের প্রত্যর্পণ তত্ত্বাবধান করতে। ময়ঙ্ক সিং, যে লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সংস্পর্শে ছিল, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে একাধিক গুরুতর অপরাধে জড়িত ছিল এবং গত বছর আজারবাইজানে আটক হয়। অনুমান করা হচ্ছে তাকে শনিবারের মধ্যে ভারতে আনা হবে। সে ইন্টারনেট কল ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অপরাধ চালিয়ে যেত এবং ভারতে তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার তদন্ত চলছে।

ময়ঙ্ক সিংয়ের অপরাধের তালিকা এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক 

ময়ঙ্ক সিংকে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিশের তালিকায় রাখা হয়েছিল এবং সে ঝাড়খণ্ডের প্রথম গ্যাংস্টার যাকে বিদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে।

তার অপরাধের ইতিহাস দীর্ঘ এবং গুরুতর। ভারত থেকে পালানোর আগে ময়ঙ্ক সিং রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানাতে বহু বড় অপরাধে জড়িত ছিল।

লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং সংগঠিত অপরাধী নেটওয়ার্ক তার কার্যকলাপকে আরও বিপজ্জনক করে তুলেছিল। ভারত ছাড়ার পরেও সে দূর থেকে অপরাধ চালিয়ে গেছে এবং ভারতীয় ব্যবসায়ীদের হুমকি দিয়েছে।

ময়ঙ্ক সিংয়ের সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়তা 

ময়ঙ্ক সিং প্রায়শই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তার কার্যকলাপের কথা জানাত। সে আক্রমণাত্মক অস্ত্রের সাথে বেশ কয়েকটি ছবি শেয়ার করত এবং ইন্টারনেট কলের মাধ্যমে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা আদায় করত।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরাধীদের এই ধরনের অনলাইন সক্রিয়তা তাদের নেটওয়ার্ক এবং বিপজ্জনক আচরণকে প্রতিফলিত করে। এতে বোঝা যায় যে ময়ঙ্ক সিং শুধু স্থানীয় স্তরেই নয়, আন্তর্জাতিক স্তরেও বিপজ্জনক ছিল।

আজারবাইজানে অপরাধীকে আটক করা হয়েছে

গত বছর আজারবাইজানে গ্যাংস্টার ময়ঙ্ক সিংকে আটক করা হয়েছে। ভারত ও আজারবাইজানের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সহযোগিতায় তার প্রত্যর্পণ কার্যক্রমের ওপর নজর রাখা হচ্ছে।

এর আগে আজারবাইজান ভারতীয় গ্যাংস্টার সঞ্জীব কুমার ওরফে হর্ষকে আটক করে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছিল। প্রত্যর্পণের পর তাকে দিল্লি বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়।

ভারত ও আজারবাইজানের সহযোগিতা

ভারত ও আজারবাইজানের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল, যদিও দুটি দেশের রাজনৈতিক সম্পর্ক মাঝে মাঝে উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।

বিশেষ করে পাকিস্তানকে সমর্থন করার কারণে আজারবাইজান ও ভারতের সম্পর্ক জটিল, তবুও অপরাধীদের প্রত্যর্পণে সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। এই ঘটনা থেকে দেখা যায় যে নিরাপত্তা সহযোগিতা রাজনৈতিক মতভেদের ঊর্ধ্বে।ময়ঙ্ক সিংয়ের অপরাধের তালিকা এবং লরেন্স বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে সম্পর্ক

Leave a comment