এ বার প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য: নতুন নির্দেশ রাজ্যের

এ বার প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা বাধ্যতামূলক সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য: নতুন নির্দেশ রাজ্যের

Civic Volunteer Training News: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসক-ছাত্রী ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারের কাছে সিভিক ভলান্টিয়ারদের যোগ্যতা ও নিয়োগ পদ্ধতি নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতেই রাজ্য সরকার এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ারদের বাধ্যতামূলক প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষা দিতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কনস্টেবলের মতোই তাঁদের ফিটনেস টেস্ট এবং বিভিন্ন দক্ষতা যাচাই করা হবে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেকের পারফরম্যান্স মূল্যায়নও করা হবে।

প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষায় জোর দিচ্ছে সরকার

রাজ্য সরকারের নির্দেশে এবার থেকে সিভিক ভলান্টিয়ারদের কাজ শুরু করার আগে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

প্রশিক্ষণে শারীরিক সক্ষমতা, আচরণ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগের মতো বিষয়ে বিশেষ পাঠদান করা হবে।

এরপর পরীক্ষা নিয়ে তাঁদের পারফরম্যান্স যাচাই করা হবে এবং কোন ক্ষেত্রে উন্নতি প্রয়োজন, তা জানিয়ে দেওয়া হবে।

মাথাপিছু প্রশিক্ষণ ভাতা বরাদ্দ করেছে সরকার

সরকার প্রতিটি সিভিক ভলান্টিয়ারের প্রশিক্ষণের জন্য আলাদা অর্থ বরাদ্দ করেছে।

প্রশাসনিক সূত্রে জানা গেছে, সমস্ত পুলিশ কমিশনারেট এবং জেলা পুলিশ অফিসে প্রশিক্ষণের নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে।

পুরো প্রক্রিয়া দু’ থেকে তিন মাসের মধ্যে সম্পন্ন হবে এবং পরে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

রাজ্যে সিভিক ভলান্টিয়ারের সংখ্যা প্রায় সওয়া লক্ষ

কলকাতা ও রাজ্য মিলিয়ে প্রায় সওয়া লক্ষ সিভিক ভলান্টিয়ার রয়েছেন, যার মধ্যে কলকাতা পুলিশের অধীনে প্রায় ৭ হাজার।

বিরোধী দল ও প্রাক্তন পুলিশকর্তারা অভিযোগ করেছেন, তাঁদের অনেকেরই পুলিশের মতো প্রশিক্ষণ নেই।

কিছু ক্ষেত্রে তোলাবাজি, দাদাগিরি এবং সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে।

প্রশিক্ষণের দুই ধাপের পরিকল্পনা

পুলিশ সূত্রে খবর, সিভিক ভলান্টিয়ারদের প্রশিক্ষণ দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

প্রথমত, যাঁরা রাস্তায় ডিউটি করেন তাঁদের শেখানো হবে কীভাবে ঠান্ডা মাথায় জনসমাগম বা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলাতে হয়।

দ্বিতীয়ত, থানার কাজে যুক্ত ভলান্টিয়ারদের শেখানো হবে তদন্তে সহযোগিতা ও নথি সংরক্ষণের নিয়মনীতি।

আরজি কর ঘটনার পর কড়া নজরদারি

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের তরুণী চিকিৎসক-ছাত্রী ধর্ষণ–খুনের পর রাজ্যের সিভিক ভলান্টিয়ার ব্যবস্থার উপর নজরদারি বাড়িয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

সরকারের এই নতুন পদক্ষেপকে দেখা হচ্ছে সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে দায়িত্ববোধ ও জবাবদিহি বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে।

দায়িত্বে পেশাদারিত্ব আনতে উদ্যোগ

রাজ্য সরকারের লক্ষ্য, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সিভিক ভলান্টিয়ারদের আরও দক্ষ ও দায়িত্বশীল করে তোলা।

এতে জনসাধারণের আস্থা যেমন বাড়বে, তেমনই পুলিশের সহায়ক বাহিনী হিসেবেও তাঁদের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পাবে।

প্রশিক্ষণ-পর্ব শেষ হলে এই পদক্ষেপের কার্যকারিতা কতটা সফল হয়, তা সময়ই বলবে।

আরজি কর ঘটনার পর রাজ্য সরকার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জন্য আনল প্রশিক্ষণ ও পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা। পুলিশ সূত্রে খবর, শারীরিক সক্ষমতা, আচরণ ও আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মূল্যায়ন করা হবে। প্রশিক্ষণের জন্য মাথাপিছু অর্থও বরাদ্দ করেছে সরকার।

Leave a comment