চুলের ঘনত্ব বাড়াতে দই না ডিম—কোনটি বেশি কার্যকর? জানুন বিশেষজ্ঞ মত

চুলের ঘনত্ব বাড়াতে দই না ডিম—কোনটি বেশি কার্যকর? জানুন বিশেষজ্ঞ মত

দই ও ডিমে চুলের যত্ন: চুলের ঘনত্ব ও মজবুতির জন্য ঘরোয়া উপায় হিসেবে দই ও ডিমের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে জনপ্রিয়। দই চুলের আর্দ্রতা ও স্ক্যাল্পের স্বাস্থ্য রক্ষা করে, অন্যদিকে ডিম চুলে প্রোটিন ও বায়োটিন সরবরাহ করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তবে কোন উপাদান কাদের জন্য উপযুক্ত, তা নির্ভর করে আপনার স্ক্যাল্পের ধরন ও চুলের অবস্থার উপর।

চুলের ঘনত্ব বাড়াতে আগে যত্ন নিন স্ক্যাল্পের

চুল গজানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় স্ক্যাল্প থেকে। যদি মাথার ত্বক স্বাস্থ্যকর না হয়, তবে হেয়ার ফলিকল পুষ্টি পায় না। তাই প্রথমেই দরকার স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা ও রক্তসঞ্চালন বাড়ানো। পুষ্টিকর খাদ্যের পাশাপাশি বাইরে থেকেও প্রয়োজন প্রোটিন, ভিটামিন ও হাইড্রেশনের জোগান—যা দই ও ডিম দুইয়ের মধ্যেই পাওয়া যায়।

চুলের জন্য দই কতটা উপকারী

দইয়ে রয়েছে প্রোটিন, ক্যালশিয়াম, ভিটামিন বি৫ ও ভালো ব্যাক্টেরিয়া। এই উপাদানগুলি স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়, খুশকি রোধ করে এবং মাথার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে। বিশেষ করে যাঁদের চুল রুক্ষ বা স্ক্যাল্প সংবেদনশীল, তাঁদের জন্য দই একেবারে উপযুক্ত। অনেকেই কন্ডিশনারের বদলে দই ব্যবহার করেন, কারণ এটি প্রাকৃতিকভাবে চুলকে নরম ও উজ্জ্বল করে তোলে।

ডিম কেন চুলের জন্য ‘পাওয়ার হাউজ’

ডিম হলো প্রোটিনের অসাধারণ উৎস। এর মধ্যে থাকা বায়োটিন, ভিটামিন ডি এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। দুর্বল, নিষ্প্রাণ ও ভঙ্গুর চুলে ডিম প্যাক মাখলে পুষ্টি ফিরে আসে। চুলে উজ্জ্বলতা আনতে চাইলে ডিমের সাদা অংশ ব্যবহার করুন, আর গোড়া শক্ত করতে চাইলে কুসুমই যথেষ্ট কার্যকর।

রুক্ষতা নাকি চুল পড়া—কোন সমস্যায় কোনটি ব্যবহার করবেন

রুক্ষতা বা চুলের ফ্রিজ কমাতে দই সবচেয়ে ভালো বিকল্প। এটি স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে ও আর্দ্রতা ধরে রাখে। অন্যদিকে, যদি চুল পাতলা হয়ে যায় বা পড়ে যায়, তবে ডিমই ব্যবহার করুন—কারণ এটি চুলে প্রয়োজনীয় প্রোটিন সরবরাহ করে।

চুল পড়া বা রুক্ষতার সমস্যায় অনেকেই দ্বিধায় পড়েন—দই মাখবেন, না ডিম? বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’টি উপাদানই কার্যকর, তবে কাজ আলাদা। স্ক্যাল্পের যত্নে ও রুক্ষতা দূর করতে দই, আর নতুন চুল গজাতে ডিমই বেশি উপকারী।

Leave a comment