বিহারের दरभंगा-তে নাবালিকা প্রেমিকা হাইটেনশন টাওয়ারে উঠে প্রেমিকের কাছ থেকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি আদায় করলো। গ্রামবাসী ও পুলিশের সহায়তায় প্রেমিকের সম্মতি পেয়ে মেয়েটি নিরাপদে নীচে নেমে আসে।
दरभंगा: বিহারের दरभंगा জেলার কিচক comunidades গ্রামে বৃহস্পতিবার এক নাবালিকা প্রেমিকা হাইটেনশন বিদ্যুৎ টাওয়ারে উঠে তার প্রেমিককে বিয়ের জন্য রাজি করিয়ে নেয়। প্রায় ৮ লাখ ভোল্টের বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়া টাওয়ারে মেয়েটির এই সাহসী কাণ্ড গ্রামে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। স্থানীয় গ্রামবাসী ও পুলিশের তৎপরতায় মেয়েটিকে নিরাপদে নীচে নামানো সম্ভব হয়।
दरभंगा-তে নাবালিকা মেয়ের টাওয়ারে আত্মহত্যার চেষ্টা
दरभंगा জেলার বিরোল থানার অন্তর্গত পটনিয়া পঞ্চায়েতের ওয়ার্ড নম্বর-১৩-এ অবস্থিত কিচকা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। মেয়েটি টাওয়ারে উঠে জানায়, যদি ছেলেটি তাকে বিয়ে না করে তবে সে ঝাঁপ দেবে অথবা হাইটেনশন তার ধরে নেবে। এই ঘোষণার পর গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং তারা ডায়াল ১১২-এর মাধ্যমে পুলিশকে খবর দেয়।
সিংঘিয়া থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। স্থানীয় গ্রামবাসীরাও সাহস দেখিয়ে মেয়েটিকে নিরাপদে নীচে নামাতে সাহায্য করেন। ঘটনার সময় ছেলে ও মেয়ে উভয়ই নাবালক ছিল। গ্রামবাসীদের সাহায্য ও প্রেমিকের আশ্বাসের পর মেয়েটি নীচে নেমে আসে।
গ্রামবাসী ও পুলিশের সহায়তায় মেয়েটি নিরাপদে নেমে আসে
গ্রামবাসীরা নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মেয়েটিকে নিরাপদে নীচে নামিয়ে আনে। তারা নীচ থেকে তাকে বোঝায় এবং আদর করে শান্ত করে। প্রেমিকও মেয়েটিকে এই আশ্বাস দেয় যে সে তাকে বিয়ে করবে। এই কথা শুনে মেয়েটি বিপদের পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে টাওয়ার থেকে নেমে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
থানা-অধ্যক্ষ চন্দ্র মণি জানান, পুলিশের উপস্থিতিতে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ডায়াল ১১২-এর গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। অন্যদিকে, ওয়ার্ড সদস্য অর্জুন মুখিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন যে এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক একটি ঘটনা, কারণ নাবালিকা প্রেমিকের জন্য নিজের জীবন বিপন্ন করতে এত সাহস দেখিয়েছে।
ঘটনাটি নাবালকদের মানসিক কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে
গ্রামের মানুষ এই ঘটনাটিকে আলোচনার বিষয় করে তুলেছে। অনেকে এটিকে বলিউড সিনেমার 'শোলে' ছবির বীরুর দৃশ্যের সাথে তুলনা করছেন। তবে, এই ঘটনাটি গুরুতর মানসিক চাপ এবং নাবালক প্রেমের বিপদগুলিও তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, নাবালকদের জন্য সঠিক নির্দেশনা এবং কাউন্সেলিংয়ের প্রয়োজন রয়েছে।
কিচকা গ্রামে এই ঘটনাটি তরুণ প্রজন্ম এবং গ্রামীণ সমাজের জন্য একটি সতর্কবার্তা হিসেবে সামনে এসেছে। ঘটনা থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে নাবালকদের আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ এবং কাউন্সেলিং অত্যন্ত জরুরি।