একটা কাজের সময় নিয়ে এত আলোড়ন কেন? প্রশ্ন তুললেন বর্ষীয়ান পরিচালক
দীপিকার আট ঘণ্টার দাবিতে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে বিতর্কের ঝড় | সন্তান জন্মের পর থেকে কর্মজীবন ও ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চেয়েছেন দীপিকা। তাই তিনি চেয়েছিলেন দৈনিক শুটিংয়ের সময়সীমা আট ঘণ্টায় সীমাবদ্ধ রাখতে। কিন্তু সেই দাবিই যেন বিতর্কের আগুনে ঘি ঢালল।
সন্দীপের অভিযোগ— শুধু সময় নয়, দীপিকা নাকি ফাঁস করেছেন চিত্রনাট্যও!
‘অ্যানিমেল’ খ্যাত পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা শুধু দীপিকার সময়সীমা সংক্রান্ত দাবিতেই বিরক্ত নন, তাঁর আরও বিস্ফোরক অভিযোগ— দীপিকা নাকি ফিল্মের গল্প ফাঁস করে দিয়েছেন! বিষয়টি নিয়ে চলচ্চিত্রমহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
কে কোন পক্ষ নিলেন? রশ্মিকা থেকে রাম কাপুর— বিভক্ত তারকামহল
বিতর্কে দু’ভাগে ভাগ হয়েছে বলিউড। কেউ দীপিকার ব্যক্তিগত চাহিদাকে সমর্থন করেছেন, কেউ আবার বলেছেন, সিনেমা একটি দলগত প্রয়াস— সেখানে ব্যক্তিগত সময় চাওয়া অনুচিত। রশ্মিকা, রাম কাপুর সহ অনেকে সন্দীপের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আবার কয়েকজন দীপিকার সুরে সুর মিলিয়েছেন।
পরিস্থিতি অস্বাভাবিক! রামগোপাল বর্মার মন্তব্যে জোর চর্চা
‘হিন্দুস্তান টাইমস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রামগোপাল বর্মা স্পষ্ট বলেন, এই বিতর্ক যতটা ছড়িয়েছে, ততটা জরুরি ছিল না। প্রত্যেকেই তাঁদের নিজস্ব মত পোষণ করতেই পারেন। কারও পক্ষে ২৩ ঘণ্টা কাজ করা স্বাভাবিক, তো কারও এক ঘণ্টার বেশি পছন্দ নয়— তাতে সমস্যা কোথায়?
শিফট নির্দিষ্ট করা যাবে না, বাস্তবতা তুলে ধরলেন বর্ষীয়ান পরিচালক
রামগোপাল বর্মার মতে, “শুধু অভিনেতার শিফট নির্দিষ্ট করলেই হবে না। পরিচালককে শুটিংয়ের লোকেশন, আবহাওয়া, টেকনিক্যাল টিম— সব দিক দেখেই সময় ঠিক করতে হয়। তাই কোনও একমুখী নিয়ম চলে না। সিনেমা কখনও টাইম অফিস নয়।”
‘সবার স্বাধীনতা আছে, কিন্তু সবাইকে সম্মান জানাতে হবে’— সংযত বার্তা বর্মার
তিনি আরও যোগ করেন, “একজন অভিনেতা নিজের সীমা ঠিক করতেই পারেন। তেমনই পরিচালকও নিজের প্রয়োজন বুঝে পরিকল্পনা করবেন। কিন্তু এই সবটাই পারস্পরিক শ্রদ্ধা আর বোঝাপরার মাধ্যমে হওয়া উচিত। ব্যক্তিগত মতের সংঘর্ষ যেন শিল্পের ক্ষতি না করে।”
সময় নয়, মানসিকতা বদলই আসল চাবিকাঠি— বলছেন বিশেষজ্ঞরা
এই বিতর্ক কেবল কাজের সময় নয়, বরং বলিউডের পেশাদার পরিবেশ নিয়েই বড় প্রশ্ন তুলে দিল। অভিনেতা বা পরিচালক— প্রত্যেকের সীমা যেমন আছে, তেমনই প্রয়োজন বোঝার দায়ও আছে। আর তার থেকেও বড় সত্য— সম্মান আর সহমর্মিতার জায়গা বজায় রাখলেই তবেই তৈরি হবে শিল্প।