দিল্লি সরকারের পক্ষ থেকে আদালতের সমন ও ওয়ারেন্টের ই-ডেলিভারির জন্য নতুন নিয়ম চালু। এখন WhatsApp ও ইমেলের মাধ্যমে নোটিশ পাঠানো হবে, যার ফলে সময় ও সম্পদের সাশ্রয় হবে।
দিল্লি কোর্ট: দিল্লি সরকার আদালতের সমন ও গ্রেফতারি ওয়ারেন্টের ডেলিভারি প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে ডিজিটাইজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালতের সমন ও ওয়ারেন্ট এখন WhatsApp ও ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো হবে। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য হল সময় বাঁচানো এবং আইনি প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করা।
লেফটেন্যান্ট গভর্নরের অনুমোদন
দিল্লি সরকার কর্তৃক জারি করা নতুন নিয়মকে লেফটেন্যান্ট গভর্নর বিনয় কুমার সাক্সেনা অনুমোদন দিয়েছেন। এর অধীনে, আদালত কর্তৃক জারি করা সমন ও ওয়ারেন্ট এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পৌঁছানো হবে। এই পরিবর্তনের ফলে, দিল্লির মানুষ এখন তাদের মোবাইল ফোনে আদালত সংক্রান্ত নোটিশ পেতে সক্ষম হবেন।
বিএনএসএস নিয়ম ২০২৫-এর অধীনে আইন লাগু করা হয়েছে
দিল্লি সরকার এই নতুন নিয়ম দিল্লি বিএনএসএস (সমন ও ওয়ারেন্টের পরিষেবা) নিয়ম, ২০২৫-এর অধীনে লাগু করেছে। এটি কার্যকর হওয়ার পর, কোর্ট WhatsApp ও ইমেলের মাধ্যমেই সমন ও ওয়ারেন্ট পাঠাতে পারবে। এর আগে, এই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে ম্যানুয়াল ছিল, যেখানে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ঠিকানায় সমনের হার্ড কপি পৌঁছানো হত।
সমনের ডেলিভারি কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হবে
সরকারের বক্তব্য হল এই সিদ্ধান্তের ফলে শুধু সময়ের সাশ্রয় হবে না, কয়েক মিনিটের মধ্যে সমনের ডেলিভারি সম্ভব হবে। আদালত কর্তৃক জারি করা নোটিশ ও ওয়ারেন্টের উপর এখন বিচারকের ডিজিটাল সীল ও স্বাক্ষর থাকবে, তাই এর বৈধতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না।
পুলিশও স্বস্তি পাবে
আদালত কর্তৃক সমন ও ওয়ারেন্টের ই-ডেলিভারি হলে পুলিশ বড়সড় স্বস্তি পাবে। এতদিন পর্যন্ত পুলিশকে প্রতিটি নোটিশের পেপার ডেলিভারি করতে হত, যাতে সময় ও সম্পদের অপচয় হত। এখন পুলিশকে শুধুমাত্র ইমেল বা WhatsApp-এর মাধ্যমে নোটিশ পাঠাতে হবে, যার ফলে তদন্তের প্রক্রিয়াও দ্রুত হবে।
ইলেকট্রনিক সমন বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে
দিল্লি সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, সমস্ত পুলিশ স্টেশনে ইলেকট্রনিক সমন বিতরণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্রগুলির কাজ হবে সমন ও ওয়ারেন্টের ই-ডেলিভারির রেকর্ড রাখা। যদি কোনো কারণে অনলাইন ডেলিভারি ব্যর্থ হয়, তবে কোর্ট হার্ড কপি পাঠানোর আদেশও দিতে পারে।
ডিজিটাল স্বাক্ষর ও সুরক্ষা ব্যবস্থা
কোর্ট থেকে পাঠানো সমস্ত সমন ও ওয়ারেন্টে বিচারকের ডিজিটাল স্বাক্ষর ও সীল থাকবে। এটি তাদের অফিসিয়াল পরিচয় বজায় রাখবে এবং কোনো ব্যক্তি এই প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে না। এছাড়াও, ইমেল ও WhatsApp-এর মাধ্যমে পাঠানো নোটিশের ডেলিভারি রিপোর্টও রেকর্ডে থাকবে।
ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের সুবিধা এর আগে থেকেই উপলব্ধ
এর আগে, দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর পুলিশ আধিকারিকদের পুলিশ স্টেশনে বসে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। এই সিদ্ধান্তের উদ্দেশ্য ছিল সময় ও সম্পদ বাঁচানো। তবে, কিছু আইনজীবী ও আম আদমি পার্টি এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। তাঁদের বক্তব্য ছিল এর ফলে কোর্টের ঐতিহ্যপূর্ণ কাজকর্মের উপর প্রভাব পড়তে পারে।