পুরোনো শত্রুতার জেরে গোকুলপুরীতে ১৮ বছরের যুবক খুন: গ্রেপ্তার ২ নাবালক

পুরোনো শত্রুতার জেরে গোকুলপুরীতে ১৮ বছরের যুবক খুন: গ্রেপ্তার ২ নাবালক

দিল্লির গোকুলপুরীতে ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে ছুরি মেরে হত্যা করেছে দুই নাবালক। পুলিশ তাদের দু'জনকেই গ্রেপ্তার করেছে এবং অভিযুক্তরা হত্যার কারণ হিসেবে পুরোনো শত্রুতার কথা জানিয়েছে। ফরেনসিক তদন্তে হত্যার অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।

নয়াদিল্লি: দিল্লির গোকুলপুরী এলাকায় ১৮ বছর বয়সী এক যুবককে ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের অভিযুক্ত দুই নাবালক ছেলেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা হত্যার পেছনের কারণ স্বীকার করেছে। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, মৃতকের সঙ্গে তাদের পুরোনো শত্রুতা ছিল।

তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তদের দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা জামাকাপড় এবং ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, এই মামলায় ধারা ১০৩(১)/৩(৫) বিএনএস এবং ২৫/২৭ আর্মস অ্যাক্টের অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

গোকুলপুরীতে পুরোনো জিনিসের গুদামের কাছে ঘটনা

ঘটনাটি ঘটেছিল বৃহস্পতিবার ভোর ৪টা ৫৪ মিনিটে। গোকুলপুরী থানায় খবর পাওয়ার সাথে সাথেই পুলিশ দল ঘটনাস্থল গলি নম্বর ৬, ভাগীরথী বিহারে পৌঁছায়। মৃতকের বয়স প্রায় ১৮ বছর ছিল এবং সে একটি পুরোনো জিনিসের গুদামে শ্রমিক হিসেবে কাজ করত। আক্রমণের পর তার ভাই তাকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল, যেখানে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় লোকজন এবং প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় এলাকায় নীরবতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ আশেপাশের সিসিটিভি ফুটেজ এবং অন্যান্য সূত্র সংগ্রহ করে মামলার তদন্ত দ্রুত করেছে।

নাবালক অভিযুক্তরা অপরাধ স্বীকার করেছে

পুলিশ জানিয়েছে যে, গ্রেপ্তারের পর দুই নাবালকই তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে যে, মৃতকের সঙ্গে পুরোনো শত্রুতা এবং ব্যক্তিগত বিবাদই ছিল হত্যার মূল কারণ। অভিযুক্তদের দেখানো স্থান থেকে হত্যার অস্ত্র এবং রক্তমাখা জামাকাপড় উদ্ধার হয়েছে।

ফরেনসিক দল ঘটনাস্থলের সম্পূর্ণ বিজ্ঞান-ভিত্তিক তদন্ত করেছে এবং সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে যে, এই পদক্ষেপ মামলার সঠিক এবং দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম

পুলিশ এখন হত্যার পেছনের সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে। দুই নাবালকের পাশাপাশি তদন্তে এটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, এই ঘটনায় অন্য কোনো ব্যক্তির সহযোগিতা ছিল কিনা। পুলিশ জানিয়েছে যে, নাবালক হওয়ার কারণে তাদের বিশেষ বিচার প্রক্রিয়ার অধীনে হেফাজতে রাখা হয়েছে।

পুলিশ স্থানীয়দের কাছে আবেদন করেছে যে, যদি কারো কাছে ঘটনা বা সন্দেহজনক কার্যকলাপ সম্পর্কে কোনো তথ্য থাকে, তবে তারা যেন অবিলম্বে পুলিশকে জানায়। এর ফলে কেবল অপরাধীদের ধরতে সাহায্য হবে না, বরং ভবিষ্যতে এমন ঘটনা প্রতিরোধ করাও সম্ভব হবে।

Leave a comment