দিল্লি হাইকোর্টে বোমা হুমকির জেরে চাঞ্চল্য। বিচারপতি ও আইনজীবীদের নিরাপদে বের করে আনা হলো। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল তল্লাশি শুরু করেছে এবং পুলিশ ইমেল প্রেরণকারীর সন্ধানে নেমেছে।
Delhi News: শুক্রবার সকালে দিল্লি হাইকোর্টে হঠাৎ বোমা হামলার হুমকি আসার পর পুরো হাইকোর্ট চত্বর জুড়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। হুমকি ইমেলে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে দুপুরের মধ্যে আদালত চত্বরে বিস্ফোরণ ঘটানো হবে। ইমেল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসন সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং বিচারপতিরা তাৎক্ষণিকভাবে শুনানি স্থগিত করেন। আদালতের অভ্যন্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত বিচারপতি এবং কর্মীদের নিরাপদে বাইরে নিয়ে আসা হয়। এই ঘটনার ফলে আদালত চত্বরে হঠাৎ উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং আইনজীবী ও অন্যান্য কর্মীরাও আতঙ্কিত দেখা যায়।
হুমকি ইমেলের উপর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া
হাইকোর্ট প্রশাসন সকালে একটি হুমকি ইমেল পায়, যেখানে লেখা ছিল যে আজ দুপুরের মধ্যে আদালতে বোমা বিস্ফোরণ হবে। প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শুরু করে। বিচারপতিরা শুনানি বন্ধ করে দেন এবং আদালত চত্বরে উপস্থিত সমস্ত কক্ষ খালি করানো হয়। ইমেল প্রাপ্তি মাত্রই আদালত প্রশাসন নিরাপত্তা কর্মীদের সতর্ক করে এবং হাইকোর্ট চত্বরের সমস্ত প্রবেশ ও প্রস্থান পথের নজরদারি বাড়ানো হয়।
বিচারপতি ও আইনজীবীদের নিরাপদে বের করে আনা হলো
হুমকির খবর পাওয়া মাত্রই নিরাপত্তা কর্মীরা আদালতের ভেতর থেকে বিচারপতি ও কর্মীদের নিরাপদে বাইরে নিয়ে আসেন। আইনজীবী ও সাধারণ মানুষকেও আদালত চত্বর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আদালত চত্বরে হঠাৎ হৈচৈ পড়ে যায় এবং অনেক আইনজীবী ও কর্মী উত্তেজনায় দেখা যায়। প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে কোনো ব্যক্তি অপ্রয়োজনে বিপদে যেন না থাকে। বিচারপতিরা নিরাপত্তা বিবেচনা করে তাৎক্ষণিকভাবে শুনানি স্থগিত করেন।
বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দলের তল্লাশি
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল (Bomb Disposal Squad) ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। দলটি আদালত চত্বর এবং তার আশেপাশের এলাকায় পুঙ্খানুপুঙ্খ তল্লাশি শুরু করে। তারা বিশেষ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো সন্দেহজনক বস্তুর শনাক্ত করার চেষ্টা করে। নিরাপত্তা দল আদালতের ভেতর এবং আশেপাশের এলাকা সম্পূর্ণভাবে তল্লাশি করে, যাতে কোনো বিপদ না থাকে তা নিশ্চিত করা যায়।
পুলিশের তৎপরতা
দিল্লি পুলিশ মামলার তদন্তে সম্পূর্ণভাবে নিয়োজিত রয়েছে। পুলিশ ইমেল প্রেরণকারীর পরিচয় শনাক্ত করতে এবং তাকে গ্রেপ্তার করার জন্য সাইবার সেল এবং অন্যান্য সংস্থার সাহায্য নিয়েছে। পুলিশ চত্বর এবং আশেপাশের এলাকায় অতিরিক্ত টহল দিচ্ছে। এছাড়াও, সমস্ত নিরাপত্তা নিয়মাবলী মেনে চলা নিশ্চিত করা হচ্ছে এবং যেকোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
আদালত চত্বরে উত্তেজনার পরিবেশ
আদালত চত্বরে আইনজীবী ও সাধারণ মানুষ উদ্বেগে দেখা যায়। হাইকোর্ট প্রশাসন সকলকে ধৈর্য ধরে রাখতে এবং গুজবে বিশ্বাস না করার আহ্বান জানিয়েছে। নিরাপত্তা কর্মীরা লোকেদের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা আদালত চত্বর এবং আশেপাশের কার্যকলাপের উপর নজর রাখেন এবং প্রশাসনের নির্দেশাবলী মেনে চলেন।
এই হুমকির ঘটনার ফলে আদালতের নিয়মিত শুনানি ব্যাহত হয়। বিচারপতিরা শুনানি স্থগিত করেন এবং নিরাপত্তা কারণে আদালতের ভিতরে কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। এর ফলে আদালতে বিচারাধীন মামলার শুনানিতে বিলম্ব হয় এবং অনেক মামলা পরবর্তী তারিখে স্থগিত করতে হয়।