ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ঋণদাতাদের পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য নতুন নিয়ম আনতে পারে। এই প্রস্তাব অনুযায়ী, ঋণ পরিশোধে অক্ষম গ্রাহকদের ফোন ঋণদাতারা দূর থেকে লক করতে পারবে। নিয়ম চালু হলে বাজাজ ফাইন্যান্স, ডিএমআই ফাইন্যান্স এবং চোলমণ্ডলম ফাইন্যান্সের মতো সংস্থাগুলো লাভবান হবে, তবে গ্রাহকদের অধিকার এবং ডেটা সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ থাকবে।
RBI New Rule: ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (RBI) ঋণদাতাদের পুনরুদ্ধার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি নতুন নিয়ম চালু করার কথা ভাবছে। এর আওতায়, ঋণ পরিশোধে অক্ষম গ্রাহকদের স্মার্টফোন ঋণদাতারা দূর থেকে লক করতে পারবে। এই নিয়মটি ভারতে সমস্ত কনজিউমার লোনের সাথে যুক্ত গ্রাহকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে এবং বাজাজ ফাইন্যান্স, ডিএমআই ফাইন্যান্স ও চোলমণ্ডলম ফাইন্যান্সের মতো সংস্থাগুলোকে লাভবান করতে পারে। RBI-এর উদ্দেশ্য হলো ঋণদাতাদের পুনরুদ্ধারের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আর্থিক ঝুঁকি কমানো।
ঋণগ্রহীতা এবং ইলেকট্রনিক্স মার্কেটের উপর প্রভাব
অধ্যয়ন থেকে জানা যায় যে, ২০২৪ সালে হোম ক্রেডিট ফাইন্যান্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, এক তৃতীয়াংশের বেশি মানুষ মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স কিস্তিতে কেনেন। অন্যদিকে, CRIF হাইমার্কের তথ্য অনুযায়ী, ১ লক্ষ টাকার কমের ছোট লোনের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ মানুষ EMI পরিশোধে ডিফল্ট করেন। এই পরিস্থিতিতে, ফোন লকিং নিয়ম ছোট ঋণগ্রহীতা এবং কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স মার্কেট উভয়ের উপরই প্রভাব ফেলতে পারে।
ফোন লকিং-এর নিয়ম এবং নিরাপত্তা
RBI-এর প্রস্তাব অনুযায়ী, ঋণ দেওয়ার সময় ঋণগ্রহীতাদের ফোনে একটি অ্যাপ ইনস্টল করা হবে। ডিফল্ট হওয়ার ক্ষেত্রে ফোনটি লক করা যেতে পারে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে RBI ফেয়ার প্র্যাকটিস কোড আপডেট করে ফোন-লকিং মেকানিজমের উপর নির্দেশিকা জারি করতে পারে। এর উদ্দেশ্য হলো ঋণদাতা যাতে ঋণ পুনরুদ্ধার করতে পারে এবং গ্রাহকের ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
সংস্থাগুলো লাভবান হবে
যদি এই নিয়ম কার্যকর হয়, তবে বাজাজ ফাইন্যান্স, ডিএমআই ফাইন্যান্স এবং চোলমণ্ডলম ফাইন্যান্সের মতো কনজিউমার প্রোডাক্ট লোন প্রদানকারী সংস্থাগুলো লাভবান হতে পারে। ফোন লকিং-এর মাধ্যমে ঋণ পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা বাড়বে এবং ডিফল্টের ক্ষেত্রে ঋণদাতাদের ক্ষমতা শক্তিশালী হবে। বর্তমানে, RBI এই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।