দিল্লিতে শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) যমুনার জলস্তর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। তবে, রাজধানীর অনেক এলাকা এখনও বন্যার কবলে রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে এবং শীঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠবে।
নতুন দিল্লি: ভারতের রাজধানী দিল্লি বর্তমানে যমুনা নদীর ভয়াবহ বন্যায় গুরুতর সংকটের সম্মুখীন। শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) যমুনার জলস্তর ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে, কিন্তু এখনও অনেক এলাকা সম্পূর্ণভাবে জলমগ্ন। এর ফলে কেবল হাজার হাজার মানুষের জীবনই প্রভাবিত হয়নি, বরং জল সরবরাহ, যান চলাচল এবং স্বাস্থ্য পরিষেবার উপরও বড় প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে আগামী দিনগুলোতে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হতে পারে, তবে আপাতত বিপদ রয়ে গেছে।
মূল বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৮টায় পুরাতন লৌহ সেতুর কাছে যমুনার জলস্তর ২০৭.০৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে। একদিন আগে এই স্তর মৌসুমের সর্বোচ্চ স্তর ২০৭.৪৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল। অন্যদিকে, শুক্রবার সন্ধ্যায় জলস্তর ২০৭.১২ মিটার এবং ৫টায় ২০৭.১৬ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে।
যমুনার জলস্তর এখনও বেশি
কেন্দ্রীয় জল কমিশন (CWC) অনুযায়ী, শুক্রবার রাত ৮টায় পুরাতন লৌহ সেতুর কাছে যমুনার জলস্তর ২০৭.০৫ মিটার রেকর্ড করা হয়েছে, যা বিপদসীমার উপরে। একদিন আগেই এই স্তর ২০৭.৪৮ মিটার পর্যন্ত পৌঁছেছিল, যা এই মৌসুমের সর্বোচ্চ স্তর ছিল। অনুমান করা হচ্ছে যে শনিবার সকাল নাগাদ জলস্তর কমে ২০৬.৪ মিটার পর্যন্ত আসতে পারে।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা বলেছেন যে সরকার পরিস্থিতির উপর ক্রমাগত নজর রাখছে। তিনি ১১টি জেলার ডিএম এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি অনলাইন বৈঠক করে ত্রাণ ও উদ্ধার অভিযানের পর্যালোচনা করেছেন। গণপূর্ত (PWD) মন্ত্রী প্রবেশ ভার্মা নিজেও বন্যা-দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে শীঘ্রই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হবে।
বন্যার কারণে হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন
- পূর্ব দিল্লিতে ৭,২০০ মানুষ প্রভাবিত হয়েছেন এবং ৭টি ত্রাণ শিবির স্থাপন করা হয়েছে।
 - উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে ৫,২০০ মানুষের জন্য ১৩টি শিবির তৈরি করা হয়েছে।
 - দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লিতে ৪,২০০ জন প্রভাবিত মানুষের জন্য ৮টি শিবির খোলা হয়েছে।
 
যদিও শিবিরগুলিতে বসবাসকারী মানুষ পর্যাপ্ত সুবিধার অভাবের অভিযোগ করছেন। অনেক মানুষ বলছেন যে তারা খাবার, পরিষ্কার জল এবং ঘুমানোর ব্যবস্থা পাচ্ছেন না। অন্যদিকে, সরকার দাবি করছে যে শিবিরগুলিতে দিনে তিন থেকে চারবার খাবার দেওয়া হচ্ছে এবং শৌচালয় ও জলের ব্যবস্থা রয়েছে।
                                                                        
                                                                            
                                                










