বুন্দেলখণ্ডের গৌরব এবং দেশের বিখ্যাত কথাব্যাস পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী উগান্ডায় ভারতের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন। বাগেশ্বর ধামের পীठाধীশ্বর উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী রবিনাহ নাব্বানজা-র সাথে সাক্ষাৎ করে মানবতা, বিশ্বব্যাপী প্রেম, শান্তি এবং সমন্বয়ের উপর আধ্যাত্মিক আলোচনা করেছেন।
উগান্ডা: বাগেশ্বর ধামের পীठाধীশ্বর এবং বিখ্যাত কথাব্যাস পণ্ডিত ধীরেন্দ্র কৃষ্ণ শাস্ত্রী উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় ভারতের পতাকা উত্তোলন করে সনাতন সংস্কৃতির বার্তা দিয়েছেন। এই উপলক্ষে তিনি উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী রবিনাহ নাব্বানজার সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং বিশ্ব শান্তি, মানবতা ও সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেন। বাবা বাগেশ্বর প্রধানমন্ত্রীকে বাগেশ্বর ধামে আসার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে ভারতীয় জীবনধারা এবং সনাতন ধর্মের পথই বিশ্ব শান্তি ও মানবিক ঐক্যের জন্য সর্বোত্তম।
মানবতা ও সেবা কার্যের প্রশংসা
বৈঠকে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীকে বাগেশ্বর ধাম দ্বারা পরিচালিত সামাজিক ও মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে জানানো হয়। যখন তাকে বলা হয় যে ভারতে বাগেশ্বর ধাম দরিদ্র কন্যাদের বিবাহ দেয়, প্রতিদিন হাজার হাজার অভাবীকে খাদ্য সরবরাহ করে এবং ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের মতো বড় প্রকল্পে কাজ করছে, তখন তিনি এই প্রচেষ্টাগুলোর প্রশংসা করেন।
বাবা বাগেশ্বর বলেছেন, “এই সমস্ত কাজের অনুপ্রেরণা আমরা আমাদের শাস্ত্র এবং ভারতীয় সংস্কৃতি থেকে পাই। আমাদের ঐতিহ্য ‘নরই নারায়ণ’ -এর বার্তা দেয়, তাই সেবাকেই সবচেয়ে বড় ধর্ম হিসেবে বিবেচনা করা হয়।”
ভারতীয় সম্প্রদায় এবং প্রবাসী ভারতীয়দের উপস্থিতি
এই অনুষ্ঠানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত অনেক শিল্পপতি ও প্রবাসী ভারতীয় উপস্থিত ছিলেন। প্রধান অতিথিদের মধ্যে ছিলেন শিল্পপতি ড. সুধীর রুপারেলা, ভারতীয় সম্প্রদায়ের সভাপতি পরেশ মেহতা, প্রাক্তন সাংসদ সঞ্জয় তান্না এবং রাজস্থানী অ্যাসোসিয়েশনের দীপক ডোরলাতা। তারা বাগেশ্বর ধামের প্রচেষ্টাকে শুধু ভারতের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের জন্য অনুপ্রেরণামূলক বলে অভিহিত করেছেন।
বাবা বাগেশ্বর এই উপলক্ষে উগান্ডার প্রধানমন্ত্রী রবিনাহ নাব্বানজাকে ভারতে আসার এবং বাগেশ্বর ধাম পরিদর্শনের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। তিনি বলেন যে ভারতের সনাতন সংস্কৃতি পুরো বিশ্বকে একটি পরিবার মনে করে সকলের কল্যাণের কামনা করে। বাবা বাগেশ্বর বলেন, একজন সনাতনীই পুরো বিশ্বকে ‘वसुधैव कुटुंबकम्’ (বসুধৈব কুটুম্বকম্) মনে করে। এটাই আমাদের মহান সংস্কৃতির সার এবং এটাই বিশ্ব শান্তির আসল পথ।